নকআউট পর্বে প্রথম বাধাটা পেরুনো গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করেই জিততে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।

এবার কোয়ার্টার-ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। যেখানে চ্যালেঞ্জটা আরও শক্ত হবে তাদের জন্য। তবে যতো কঠিন চ্যালেঞ্জই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত জয়ের ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি।শনিবার আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টিনা। শুরুতেই অধিনায়ক মেসির গোলেই এগিয়ে যায় দলটি। এরপর প্রতিপক্ষের ভুলে ব্যবধান বাড়ান হুলিয়ান আলভারেজ। আত্মঘাতী গোলের সুবাদে পরে ব্যবধান কমায় সকারুরা।নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে অবশ্য আর্জেন্টিনার অন্যরকম একটি দ্বৈরথ রয়েছে। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু। প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল তারাই। মোট নয়বারের মুখোমুখি লড়াইয়ের পাঁচবার হয়েছে বিশ্বকাপেই।

আর মুখোমুখি এ লড়াইয়ে এগিয়ে আছে ডাচরাই। চারটি জয় তাদের। আর্জেন্টিনার জয় তিনটিতে। বাকি দুটি ড্র। এবার আলবিসেলেস্তেদের সুযোগ রয়েছে সমতায় ফেরার।দুই দলের ঐতিহ্যবাহী এ লড়াইটা দারুণ উপভোগ্য হবে বলে আশা করছেন আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি। আর এ লড়াইয়ে বিজয়ীদের মঞ্চেই থাকার প্রত্যয় দেখিয়ে বলেন, 'ঐতিহ্যবাহী দুটি দলের লড়াই, খুব সুন্দর একটি ম্যাচ হবে এটি। দুঃখজনকভাবে কোনো একটি দলকে বিদায় নিতে হবে। আশা করি, আমরাই পরের ধাপে এগিয়ে যাব।'

তবে পুরনো সেই সময়ের নেদারল্যান্ডস দলের সঙ্গে বর্তমান দলের অনেক পার্থক্য। একসময় অনেক বড় বড় তারকারা ছিলেন ডাচ শিবিরে। তবে বর্তমান দলটিও কম শক্তিশালী নয়। তাদের বিপক্ষে কঠিন লড়াই-ই আশা করছেন স্কালোনি, 'কঠিন এক প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই আমাদের। আশা করি আমরা ভালো করব। হয়তো তারা আগের ডাচ দলগুলির মতো তারকায় উজ্জ্বল নয়।



তবে নিজেদের কাজটা তারা খুব ভালোভাবে জানে।'তবে ডাচদের মূল শক্তির জায়গা কোচ লুইস ফন হাল। অভিজ্ঞ এ কোচ তৃতীয় দফায় নেদারল্যান্ডসের দায়িত্ব নেওয়ার টানা ১৯ ম্যাচে অপরাজিত ডাচরা। এই কোচ যখন তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তারও এক দশক পর ফুটবলে হাতে হাতেখড়ি আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনির। আর কোচিং তো শুরু করেছেন ছয় বছরও হয়নি। ফন হালের মুখোমুখি হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, 'সেই সময়টা থেকেই তিনি অনেক খ্যাতিমান। তার মুখোমুখি হওয়াটা গর্বের ব্যাপার। ফুটবল থেকে এই তৃপ্তিটা পাওয়া যায়, বিশেষ করে যখন বিশ্বকাপের মঞ্চে এই সুযোগটা হয়। আমরা জানি, ফুটবলে তিনি কতটা কী করেছেন এবং কত লোকে তাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করেছে।