পরে তার পায়ে গুলি করে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আমঘাটা এলাকায় ফেলে রাখে সন্ত্রাসীরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহত জিয়া সরকার সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নোয়াদ্ধা গ্রামের জেদ্দাল সরকারের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহসিন হক কল্পনার সর্মথক।
আহত জিয়া সরকারের স্বজনরা জানান, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার যশলং ইউনিয়নের সেজরাবাদ এলাকার তার ইট-বালু ব্যবসার দোকান বন্ধ করে তার মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে যায়। যাওয়ার সময় একই উপজেলার বেশনাল কালভার্টে পৌঁছালে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর ছোট ভাই শিপন পাটোয়ারী তার সহযোগী সোহাগ, মোসলেম, দিলদারসহ ১০-১২ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল তাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। পরে রিপন চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়ি আমঘাটায় নিয়ে যায়। সেখানে জিয়ার পায়ে গুলি করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রাখে।
এ ব্যাপারে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারীকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সৈবাল বসাক জানান, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়াও পায়ে দুটি গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত ওসি (তদন্ত) মো. আনসারুজ্জামান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।