আজ সকাল থেকেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আকাশে ছিল ঘন মেঘের ছায়া। বেলা ১১টার পর থেকেই শুরু হয় টিপটিপ বৃষ্টি, যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় একটানা ভারী বর্ষণে। প্রকৃতির এই আকস্মিক রূপ বদলে প্রাণ ফিরে পায় নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস।
বৃষ্টির জলে ধুয়ে যায় ক্যাম্পাসের প্রতিটি পথ, প্রতিটি গলি। বৃষ্টিতে ভেজা সবুজ ঘাসে জমে থাকা ফোঁটাগুলো যেন মুক্তোর মতো ঝিকিমিকি করে। ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এক অপূর্ব সতেজতা। একাডেমিক ভবনের সামনের পথ, লাইব্রেরির বারান্দা কিংবা কেন্দ্রীয় মাঠ—সবখানেই শিক্ষার্থীদের দেখা যায় ছাতা হাতে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে প্রকৃতির এই মুহূর্তটিকে উপভোগ করতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “দীর্ঘদিনের তাপদাহের পর এমন প্রশান্তিময় একটানা বৃষ্টি আমাদের ক্লান্ত মনকে যেন নতুন করে জাগিয়ে তুলল। ক্লাসের ক্লান্তি ভুলে আমরা উপভোগ করেছি প্রকৃতির এই শান্ত ছোঁয়া।”
আবাসিক হলগুলোর বারান্দায় ছিল প্রাণবন্ত আড্ডা আর বৃষ্টির ছন্দে তাল মেলানো হাসি-ঠাট্টা। কেউ কেউ আবার মোবাইলে বন্দি করছিল ক্যাম্পাসের অনিন্দ্য সৌন্দর্য, কেউ বা এক কাপ গরম চায়ের পাশে বসে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছিল জীবনের ছোট ছোট গল্প।
এই দিনের সৌন্দর্য কেবল প্রকৃতিতেই নয়, বরং হৃদয়ের গভীরেও। একটানা বৃষ্টির দিনে, নোবিপ্রবি হয়ে ওঠে এক জীবন্ত চিত্রকর্ম—যেখানে প্রতিটি ছাতা, প্রতিটি ভেজা পদচারণা, প্রতিটি চায়ের কাপে জমে থাকে গল্প, স্মৃতি আর এক চিলতে প্রশান্তি।
বৃষ্টিভেজা ক্যাম্পাস যেন বারবার মনে করিয়ে দেয়—যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তির মাঝে প্রকৃতিই সবচেয়ে বড় আশ্রয়। আর এই আশ্রয়ে কিছু মুহূর্তের ভালো লাগাই, হয়তো জীবনের আসল শান্তি।