হাসপাতালের ডাক্তার ও বাইরের একজন লোক সিঁড়ি থেকে নামতেই ওই ওয়ার্ডমাস্টার সজল ডাক্তারকে পেছন থেকে জামা ধরে টানাটানি ও গালি দিচ্ছিলেন।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আউটসোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত ওয়ার্ডমাস্টার সজল ইসলামের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ পারভেজ।গতকাল বুধবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সিঁড়ির নিচে এ লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওয়ার্ডমাস্টার সজল শহরের বোসপাড়ার শাবান আলীর ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে ওয়ার্ডমাস্টার সজল আত্মগোপনে রয়েছেন। নিরাপত্তার অভাবে লাঞ্ছিত হয়েও বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ ওই চিকিৎসক। এদিকে লাঞ্ছিতকারী ওয়ার্ডমাস্টার সজল রয়েছেন বহাল তবিয়তে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসপাতালের ডাক্তার ও বাইরের একজন লোক সিঁড়ি থেকে নামতেই ওই ওয়ার্ডমাস্টার সজল ডাক্তারকে পেছন থেকে জামা ধরে টানাটানি ও গালি দিচ্ছিলেন। এ সময় মেডিকেল অফিসার ছুটে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে কি নিয়ে এ লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে তা কেউ জানাতে পারেননি।

তবে, চিকিৎসক ফরহাদ পারভেজের কথা বলতে চাইলে তিনি লাঞ্ছিত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও বেশি কথা বলতে চাননি। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মকলেছুর রহমান বলেন, চিকিৎসক ফরহাদ পারভেজ মেইল ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা দিয়ে ওষুধ কোম্পানীর একজন প্রতিনিধিসহ সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। এ সময় পেছন থেকে টেনে ধরে লাঞ্ছিত করেন ওয়ার্ডমাস্টার সজল। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক খুলনাতে একটা মিটিং এ গেছেন। তত্বাবধায়ক ফিরলেই এই বিষয়টি নিয়ে বসা হবে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জামির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, এই বিষয় শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। হাসপাতালের আরএমও মেহেদী হাসান চার্জে রয়েছেন। লাঞ্ছিত চিকিৎসক ফরহাদ পারভেজকে থানায় গিয়ে জিডি বা মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া আমি মৌখিকভাবে মেহেরপুর পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা আমাদের সকল বিষয়ে পাশে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় সজলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে হাসপাতাল চত্তরে ও তার মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।