মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বিদ্যালয়ে মোবাইল নেয়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে চেয়ারের সাথে বেধে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জিনিয়া সরকারের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় সুত্রে জানাগেছে, গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে মোবাইল নিয়ে যায়।

 পরে সেটি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জিনিয়া সরকার জানতে পারলে ওই ছাত্রীকে শ্রেনী কক্ষ থেকে বের করে অফিস কক্ষের একটি চেয়ারের সাথে বেধে রাখেন। পরে পরিবার কে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানালে সেখানে তার চাচা এবং ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন মিয়া উপস্থিত হয়। কিন্তু তাদের বিদ্যালয় কতৃপক্ষ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ওই শিক্ষার্থীর মার কাছে তাকে হস্তান্তর করে। উপস্থিত চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম তানভীরের নিকট জানালেও কোন পদক্ষেপ এখনো নেয়া হয় নি।

 বিদ্যালয়ের একধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জিনিয়া সরকার যে কাজ টি করেছে তা ঠিক হয় নি। আমরা সেই দিনই এর নিন্দা জানিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কোন কারনে ব্যাবস্থা নেয় নি। একটা ছাত্রীকে বেধে রাখা খুবই অমানবিক একটি কাজ। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর চাচা বলেন, আমার ভাতিজি কে মোবাইল নেয়ায় চেয়ারের সাথে জিনিয়া মেডাম বেধে রেখেছিলো। পরে আমাদের ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন মিয়া ও ইছাপুরা ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নাসির আহমেদ সহ আমি সেখানে গেলে তারা আমার ভাবী কে আসতে বলে। ভাবী আসলে তারা আমার ভাতিজিকে ছেড়ে দেয়। চেয়ারম্যান মহোদয় আমাদের ইউএনও মহোদয় কে বিষয়টি অবগত করেছিলো। রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জিনিয়া সরকার বলেন, আসলে আমি আবেগে এই কাজটি করে ফেলেছি।

আমি নিজের সন্তানের মত তাদের শাসন করেছি। কিন্তু এই ছোট বিষয়টা যে এত বড় হয়ে যাবে তা আমি ভাবিনি। রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মাসউদুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এটি মিমাংসা করে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ বিসয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, আমি এই বিসয়টি অবগত নেই। আপনার কাছ থেকে জানলাম। আমরা ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম তানভীর বলেন, ছাত্রীদের বিষয়ে কোন ছাড় হবে না৷ আমাকে বিষয় টি ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি অধিকতর দতন্ত করে অবশ্যই ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।