বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে সরকারি খাল দখল করে মৎস্য ঘের করার মাধ্যমে অসংখ্য কৃষকের ভোগান্তি সৃষ্টি সহ বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট ও ফকিরহাট এবং খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার অনেকের অভিযোগে জানাযায়, ওই তিনটি উপজলা নিয়ে বিস্তৃত কেন্দুয়া বিল। বিলটিতে একাধিক নদী ও খাল রয়েছে। যেসকল নদী ও খাল দিয়ে অসংখ্য কৃষক তাদের হাজার হাজার মৎস্য ঘেরে যাতায়াত করে। উক্ত বিলের রূপসা উপজেলাধীন বিলমৌভোগ মৌজার বাকার খালের একটি অংশে অবৈধভাবে মৎস্য ঘের করেছে প্রভাবশালী ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ও তার সঙ্গীয় কামরুল ও সবুর।

এছাড়া অন্যের ঘেরের মাছ ধরে নেয়া সহ বহু প্রকার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। কৃষকরা আরও বলেন, মেম্বার অত্যন্ত প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে তার যা ইচ্ছা তাই করে চলছে। এমনকি নিজের এলাকা টপটিয়ে পার্শ্ববর্তী রূপসা উপজেলায় তার প্রভাব বিস্তার করছে। খালের ওই অংশ জনস্বার্থে উন্মুক্ত করে দেয়া সহ মেম্বার ও তার সঙ্গীদের বিচারের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।


গাংনী গ্রামের আয়ুব মুন্সি বলেন, আমার ঘের সংলগ্ন বাকার খালের অংশ দখল করে অবৈধভাবে মৎস্য ঘের করছে হাবিব মেম্বার ও তার সঙ্গীয় কামরুল ও সবুর। এক লাখ টাকা ধার্য করে তারা আমার ঘেরের থেকে মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এরপর আমাকে টাকা না দিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে। এছাড়া আমার ঘেরের কাছে খাল দখলের মাধ্যমে যে ঘের করেছে, তা আমার কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করতে চেয়েছে মেম্বার। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে দেখে নিয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভুল বানোয়াট। আমি রানিং দ্বিতীয়বারের মতো ইউপি সদস্য। ঝন্টুর কাছ থেকে আমি ঘের লিজ নিছি, ঝন্টুর কথায় তার জমি ঘিরছি, তাতে সরকারের কিছু ঘেরা হলে হতে পারে, সরকার চাইলে আমি ছেড়ে দিতে বাধ্য।