বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কোদালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা বিএনপি। বুধবার দুপুর ২:৩০ টায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিকদার জামাল উদ্দিন বলেন, বাগেরহাট জেলায় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে ৫/৬ জন লোক খুন হয়েছে এবং পঙ্গু হয়েছেন ৪০/৫০ জন। মোল্লাহাটেও দুটি ইউনিয়নের বেশ কিছু লোক আহত ও পঙ্গু হয়েছেন। যে কারণে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গতকাল মঙ্গলবার ঘোষণা দেন নির্বাচন স্থগিতের। কাউন্সিলিং করে ঈদের পর নির্বাচন করা হবে বলেও জানান তিনি। এসময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সহ নেতৃবৃন্দ বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়কের সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়ে দলের স্বার্থে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকেও নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া সহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানানো হয়। যে কারণে দুটি প্যানেলের একটি (সভাপতি প্রার্থী মোঃ বায়জিদ মোল্লা (ছাতা), সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুস সবুর মোল্লা (ফুটবল) ও
সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী নেয়ামত শরিফ (মাছ) দলের স্বার্থে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করে। অথচ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি অপর প্যানেলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করছে। উক্ত নির্বাচন বাতিল পূর্বক পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে শক্তিশালী নেতৃত্ব গঠণে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাহেদ আলী, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম মিয়া, রুহুল আমিন ও এনায়েত সরকার, কোদালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মোঃ বায়জিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুস সবুর মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী নেয়ামত শরিফ।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুন আল রশীদ বলেন, নির্বাচন সঠিক নিয়মে সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একটি প্যানেল অজ্ঞাত কারণে আসেনাই, তবে তারা আসলে আরো ভালো হতো।