পর্যটন নগরী ককসবাজারের হিমছড়ি পয়েন্টের সাগরে গোসলে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার হয়েছে তবে একই ঘটনায় চবির আরও দুই শিক্ষার্থী এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে হিমছড়ি পয়েন্টে তিন বন্ধু একসাথে গোসলে নেমে সাগরে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গিয়ে ১জনের মরদেহ উদ্ধার ও ২জন নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুমনাথ বসু।

জানা গেছে, নিহত ও নিখোঁজ তিনজনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তারা চারজন মিলে সোমবার কক্সবাজারে ঘুরতে আসেন। আজ সকালে হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নামেন তিনজন। এর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। বাকি একজন সৈকতে না নামায় প্রাণে বেঁচে যায়।

উদ্ধারকৃত নিহত শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা মিরপুর পল্লবী দক্ষিণ এ-৭ এলাকার বাসিন্দা কে এম আনিসুর রহমানের ছেলে সাবাব (২১)। নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীরা হলেন, বগুড়ার সদরের দক্ষিণ সনসুনিয়া এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের ছেলে অরিত্র হাসান এবং বগুড়া সদরের নারুলী দক্ষিণের রফিকুল ইসলামের ছেলে আসিফ আহমেদ।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুমনাথ বসু জানান, তিন পর্যটক সৈকতে গোসল করতে নামেন। এরপরই স্রোতের টানে তারা নিখোঁজ হয়ে যান। এদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মরদেহের পরিচয় পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিখোঁজ অপর দুই শিক্ষার্থীর সন্ধানে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস অভিযান চালাচ্ছে।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ গণমাধ্যম বলেন।গত কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরতে  আসা  তিন  পর্যটক সৈকতে গোসল করতে নেমে উত্তাল ঢেউয়ের স্রোতে  ভেসে যান। পরবর্তীতে সকালে হিমছড়ি এলাকায় একজনের মরদেহ পাওয়া যায়। এছাড়া নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের চেষ্টায় কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের একটি বিশেষ টিম  কাজ করছে বলে জানান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। এদিকে গতকয়েকদিনের টানা বর্ষণে সাগরের উন্মত্ততা বেড়ে যাওয়াতে অসতর্কতা অবস্থায় সাগরে না নামতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ করা হলেও অনেক সময় পর্যটকদের অনেকেই তা না মেনে সাগরে নেমে পড়ে। ফলে অনেকেই দুর্ঘটনার স্বীকার হয় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করে থাকে যেটা কখনও কারও কাম্য নয়। এছাড়া কক্সবাজারের প্রায় ১২০কি.মিটার দৈর্ঘ্যের সমুদ্র সৈকতে শুধুমাত্র পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে লাবণী পয়েন্ট,সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টে সেইফ লাইফ গার্ড কর্মী রয়েছে। তাই অন্য কোন পয়েন্টে সাগরে না নামার নির্দেশনা রয়েছে। তবে সাগরে প্রাণহানি রোধে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সীনেট বসানোর দাবি দীর্ঘদিনের হলেও সংশ্লিষ্টদের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।