যশোরের বাঘারপাড়ায় চাঁদাবাজির ঘটনায় সাবেক যুবদল নেতা
তাসকিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মামলাটি করেছেন
বাঘারপাড়ার মহিরণ গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোক্তার আলী।
আসামিরা হলেন, বাঘারপাড়া মহিরণ গ্রামের তাসকিন, তার ছোট ভাই মাসুম
বিল্লাহ, একই গ্রামের সুইট হোসেন ও মিরাজ হোসেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে
বাঘারপাড়া থানা পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে আটক করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করে।
আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনিসহ আরও দুইজন বাঘারপাড়া পৌরসভা
থেকে ইজিবাইকের টোল আদায়ের জন্য ইজারা নিয়েছেন। তাসকিন ও মাসুম বিল্লাহ
প্রতিদিন দুইশ’ টাকা করে চাঁদা দাবি করতেন এবং ইতিমধ্যে ৪শ’ টাকা আদায়ও
করেছেন। এই বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির পর শক্রতা সৃষ্টি হয়।
ঘটনার দিন গত (৪ সেপ্টম্বর) বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মোক্তার, তার ভাই
নুর ইসলাম ও ভাইপো খাইরুল ইসলাম বাড়ি ফেরার পথে বাঘারপাড়ার নয়নের
মোটরসাইকেল গ্যারেজের সামনে পৌঁছালে আসামিরা চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া ও
রামদা নিয়ে তাদের গতিরোধ করে। এরপর "চাঁদা দিসনি কেন" বলে তাসকিন
মুক্তার রামদা দিয়ে আঘাত করলে বাম কানের নিচে লাগে। তিনি মাটিতে পড়ে যান।
এরপর মিরাজ ও সুইট বিভিন্ন দেহের অংশে আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত জখম করে।
নুর ইসলাম বাধা দেওয়ায় তাসকিন তাকে দা দিয়ে আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত জখম
হন। ভাইপো খাইরুলকেও আঘাত করে মাসুম বিল্লাহ। পরে চিৎকারে আশপাশের লোকজন
এগিয়ে আসলে আসামিরা হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান। আহতদের বাঘারপাড়া থানা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘারপাড়া থানার এসআই ওয়ালিয়ার রহমান জানিয়েছেন,
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাঘারপাড়া বাজার এলাকা থেকে মাসুম
বিল্লাহকে আটক করা হয়। পালিয়েছে মুল অভিযুক্ত তাসকিন। অপর আসামিদের ধরতে
অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাসকিনকে ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক
রয়েছে। বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এখলাজ হোসেন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব বাবুল
আক্তার, বিএনপি নেতা দাউদ হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক
বিল্লাল মোল্লা ও সাবেক পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সেলিম রেজাসহ অনেকের সঙ্গে
তার খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে।
অপর পক্ষ দাবি করছে, মুক্তারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাসকিন
রাজনৈতিক প্রতিহিংশার শিকার হয়েছেন।