যশোর জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে যুবলীগ নেতার হাতে আকলিমা খাতুন নামে এক সিনিয়র স্টাফ নার্স লাঞ্ছিত হয়েছেন। এঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে বিক্ষোভে নামেন নার্স এসোসিয়েশন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা বৈঠকে বসেন। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মারুফ হোসেন বিপু লাঞ্ছিত সিনিয়র স্টাফ নার্স আকলিমা খাতুনের কাছে ক্ষমা চাইলে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় নার্স এসোসিয়েশন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়- গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের নিচ তলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর জেলা যুবলীগ নেতা মারুফ হোসেন বিপুর এক স্বজনের মৃত্যু হয়।
স্বজনের মৃত্যুর বিষয়টি মানতে পারেননি ওই যুবলীগ নেতা। তিনি ওই ওয়ার্ডে গিয়ে উত্তেজিত হন এবং নার্সদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ শুরু করেন। এ সময় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বুঝানোর চেষ্টা করেন দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আকলিমা খাতুন কিন্তু যুবলীগ নেতা মারুফ আরও উত্তেজিতন হন এবং ওই নার্সকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ খবর হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে বিচারের দাবিতে নার্সরা সেবা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখায় নার্সেস এসোসিয়েশন।
রাত সাড়ে ৯ টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ বিক্ষুদ্ধ নার্স নেতৃবৃন্দ ও অভিযুক্ত যুবলীগ নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে যুবলীগ নেতা মারুফ নিজের ভুল স্বীকার করে লাঞ্ছিত নার্স আকলিমা খাতুনের কাছে ক্ষমা চান। এতেই নিস্পত্তি ঘটে সৃষ্ট পরিস্থিতির। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন-আর-রশিদ জানান, যুবলীগ নেতা মারুফ লাঞ্ছিত নার্স আকলিমার কাছে ক্ষমা চাওয়ায় নার্স এসোসিয়েশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে অপর একটি সূত্রের দাবি-বিষয়টি থানা অবদি গড়াচ্ছে। এজাহার দায়ের দায়ে করা হয়েছে।