যশোর ৪৯ বিজিবির অভিযানে গত ৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল ১৫ দিনে ১,০৮,৬৯,৯৫৮/- (এক কোটি আট লাখ উনষাট হাজার নয়শত আটান্ন) টাকা মূল্যের বিদেশী মদ,ফেন্সিডিল,ভারতীয় শাড়ী,কম্বল,বিভিন্ন প্রকার চকলেট এবং কসমেটিক্স আটক করেছে ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
গত ০৫ই এপ্রিল-২৫ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর টহলদল বেনাপোল সীমান্ত,বেনাপোল আইসিপি এবং আন্দুলিয়া সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে গত ৫ই এপ্রিল ৭,৬৯,৯৫০/- ৬ই এপ্রিল ৫,৫৯,৭০০/- ৮ই এপ্রিল ৭,৬১,৭৫০/- ৯ এপ্রিল ৭,৫৬,৪০০/- ১০ এপ্রিল ১৪,৮১,৫৮০/- ১১ এপ্রিল ৮,৭৮,৩৮০/- ১২ এপ্রিল ১২,৫৯,২০০/- ১৩ এপ্রিল ৯,৮১,৬৮৮/- ১৪ এপ্রিল ৫,৯১,০৫০/- ১৫ এপ্রিল ৫,৪০,৯০০/- ১৬ এপ্রিল ১১,৫১,৩০০/- ১৭ এপ্রিল ৯,৩৮,৮০০/- ১৯ এপ্রিল ১,৯৯,২৬০/- সর্বমোট আটককৃত মালামালের মূল্য ১,০৮,৬৯,৯৫৮/- (এক কোটি আট লাখ উনষাট হাজার নয়শত আটান্ন) টাকার অবৈধ পণ্য আটক করে বিজিবি।
অতিরিক্ত মালামাল আটকের বিষয়ে বেনাপোল আইসিবি (বিজিবি) ক্যাম্প কমান্ডার মিজানুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেনাপোল আইসিবি (বিজিবি) কর্তৃক গত ৫ই এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনে পাসপোর্ট যাত্রী ও বেনাপোল সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকার বিদেশী মদ, ফেন্সিডিল, শাড়ী, বিভিন্ন প্রকার চকলেট এবং কসমেটিক্স পণ্য আটক করা হয়েছে।
বিজিবি পাসপোর্ট যাত্রীদের পাসপোর্টের হিস্টরি বা যাওয়া আসার সিল যাচায় বাচায় করে অতিরিক্ত পণ্য আটক করে থাকে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর ফারজিন ফাহিম জানান, মাদক নির্মূলে সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে।
আটক আসামিরা সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ক্রয় করে যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিক দামে সরবরাহ সহ বিক্রয় করে থাকে।
তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক পাচারে এই সীমান্তকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য এবং বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানী মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হচ্ছি। সীমান্তে বিজিবির এ ধরনের আভিযানিক কার্যক্রম সবসময়ই অব্যাহত থাকবে।