সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানিকতা। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর নেতৃত্বে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি বাদ্যের তালে তালে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে এসে শেষ হয়। স্বাধীনতা স্মারকে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর ও আবাসিক হলগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এর আগে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাধীনতা স্মারক মাঠে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভের পর নতুন প্রেক্ষাপটে প্রথম বিজয় দিবস পালন করছে জাতি। তিনি বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। গত জুলাই আগস্টের আন্দোলনে যাদের আত্মত্যাগ ও অবদান আছে তাদের যেন আমরা ভুলে না যাই। দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের চেতনা ও মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহবান জানান বেরোবি উপাচার্য।