যখন সারা দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের উচ্ছ্বাসে মত্ত সবাই, তখন ভিন্ন পথে হেঁটেছে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ভলান্টিয়ার সংগঠন নগরফুল। রাতের আঁধারে, আলোকসজ্জার শহরে নগরফুলের স্বেচ্ছাসেবীরা শুরু করেছে মানবিকতার এক অনন্য উৎসব। নগরফুলের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বায়েজিদ সুমন এবং ১০ম মৌসুমের আহ্বায়ক সুমিত দত্ত-এর নেতৃত্বে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী মালীরা শহরের অলিগলি ও মেঠোপথ চষে বেড়িয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল একটাই—প্রকৃত শীতার্ত এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। পথশিশু, ভাসমান জনগোষ্ঠী এবং অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে শীতবস্ত্র ও চাদর। পুরো চট্টগ্রাম শহরজুড়ে গভীর রাত থেকে ভোর অবধি চলে এই কার্যক্রম। শুধুমাত্র শীতবস্ত্র বিতরণ নয়, নগরফুলের স্বেচ্ছাসেবীরা তাঁদের হাসি, সহানুভূতি এবং ভালোবাসা দিয়ে শীতার্ত মানুষের হৃদয়েও উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে দিয়েছে। নগরফুলের প্রতিষ্ঠাতা বায়েজিদ সুমন জানান, “আমাদের এই উদ্যোগ আনন্দের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে। যখন আমরা দেখি কোনো শিশু বা বৃদ্ধ শীত থেকে মুক্তি পাচ্ছে, তখনই আমাদের নতুন বছরের উদযাপন সম্পূর্ণ হয়।” ১০ম মৌসুমের আহ্বায়ক সুমিত দত্ত বলেন, “এটি কেবল একটি উদ্যোগ নয়, এটি একটি দায়বদ্ধতা। আমরা চাই আমাদের মতো তরুণ প্রজন্ম নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে সমাজের জন্য কিছু করুক।” নগরফুলের এই উদ্যোগ সামাজিক দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। অন্ধকার রাত ভেদ করে মানবতার আলো ছড়িয়ে দেওয়া এই স্বেচ্ছাসেবী দল প্রমাণ করেছে, থার্টি ফার্স্ট উদযাপন মানেই কেবল নিজের আনন্দ নয়, বরং তা হতে পারে অন্যের কষ্ট লাঘবের হাতিয়ার। নগরফুলের ভিন্নধর্মী এই উদযাপন নতুন বছরে মানবিকতার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক।