ঘুষ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার কে আরপিএমপি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল ১৫ ই মার্চ (শনিবার) বিকেলে ডিআইজি (প্রশাসন) ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা জানানো হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ- পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ বিভাগের মধ্যে অপেশাদার আচরণ করে আসছিল। গত ১৩ ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) রংপুরের এক আওয়ামী লীগ নেত্রী লিপি খান ভরসার ম্যানেজার পলাশ হাসান লিপি ভরসার কাছ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার একটি হত্যা মামলা থেকে নাম কেটে দেওয়া এবং সুরক্ষার কথা বলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় অমিত বণিক নামে এক ব্যবসায়ীর নামে মামলা করতে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় যান। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার উপস্থিত হয়ে পলাশ হাসানকে থাপ্পর মারেন এবং কনস্টেবলের রাইফেল কেড়ে নিয়ে গুলি করতে উদ্যত হন। এ সময় পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বাধা দিলে তারও গায়ে হাত তোলেন। এ সময় থানার ভিতরে সবাই আতঙ্কে পড়ে যান এবং দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই দিনেই পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারে লিখিতভাবে জানানো হয়।
এর আগে রংপুরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল থেকে রংপুর জিয়া মঞ্চের নেতা লুসার আহমেদ কে মারধর করার অভিযোগে লুসার আহমেদ থানায় মামলা করতে গেলে উল্লেখিত পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার স্ব শরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা থেকে অমিত বণিকের নাম কেটে দেন এবং এক বিএনপি নেতা তার প্রতিবাদ করলে তাকে মামলায় ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার করার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন।
এছাড়াও ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা পুলিশের রাঙ্গামাটি সার্কেল এর এসপি থাকাকালীন সময়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারকে থাপ্পর মারা এবং এক ডিআইজির সাথে অপেশাদার আচরণ করার অভিযোগে দুবার প্রসেডিং হয়েছিল। তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে সে সময় তিনি প্রসেডিং দুটো থেকে উৎরে যান। যা তিনি প্রায় সময় জোর করে বলে বেড়াতেন। গত জুলাই আগস্ট মাস জুড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জামাত-বিএনপি সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের নামে যে সকল মামলা হয়েছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে সে মামলা গুলোর ফাইনাল রিপোর্ট প্রদানের জন্য বারবার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা কৌশলে এড়িয়ে যান এবং এই মামলাগুলিতে অমিত বণিকের মত ব্যবসায়ীদের যোগসাজেসে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যান।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) অতিরিক্ত দায়িত্ব হাবিবুর রহমান জানান, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা শিবরি কায়সারের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং হেডকোয়ার্টারে বিষয়গুলো লিখিতভাবে জানানোর পরে তাকে হেডকোয়ার্টার থেকে বদলি করে সেখানে সংযুক্ত করা হয়েছে।ঘুষ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার কে আরপিএমপি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল ১৫ ই মার্চ (শনিবার) বিকেলে ডিআইজি (প্রশাসন) ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা জানানো হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ- পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ বিভাগের মধ্যে অপেশাদার আচরণ করে আসছিল। গত ১৩ ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) রংপুরের এক আওয়ামী লীগ নেত্রী লিপি খান ভরসার ম্যানেজার পলাশ হাসান লিপি ভরসার কাছ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার একটি হত্যা মামলা থেকে নাম কেটে দেওয়া এবং সুরক্ষার কথা বলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় অমিত বণিক নামে এক ব্যবসায়ীর নামে মামলা করতে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় যান। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার উপস্থিত হয়ে পলাশ হাসানকে থাপ্পর মারেন এবং কনস্টেবলের রাইফেল কেড়ে নিয়ে গুলি করতে উদ্যত হন। এ সময় পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বাধা দিলে তারও গায়ে হাত তোলেন। এ সময় থানার ভিতরে সবাই আতঙ্কে পড়ে যান এবং দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই দিনেই পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারে লিখিতভাবে জানানো হয়।
এর আগে রংপুরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল থেকে রংপুর জিয়া মঞ্চের নেতা লুসার আহমেদ কে মারধর করার অভিযোগে লুসার আহমেদ থানায় মামলা করতে গেলে উল্লেখিত পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার স্ব শরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা থেকে অমিত বণিকের নাম কেটে দেন এবং এক বিএনপি নেতা তার প্রতিবাদ করলে তাকে মামলায় ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার করার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন।
এছাড়াও ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা পুলিশের রাঙ্গামাটি সার্কেল এর এসপি থাকাকালীন সময়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারকে থাপ্পর মারা এবং এক ডিআইজির সাথে অপেশাদার আচরণ করার অভিযোগে দুবার প্রসেডিং হয়েছিল। তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে সে সময় তিনি প্রসেডিং দুটো থেকে উৎরে যান। যা তিনি প্রায় সময় জোর করে বলে বেড়াতেন। গত জুলাই আগস্ট মাস জুড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জামাত-বিএনপি সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের নামে যে সকল মামলা হয়েছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে সে মামলা গুলোর ফাইনাল রিপোর্ট প্রদানের জন্য বারবার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা কৌশলে এড়িয়ে যান এবং এই মামলাগুলিতে অমিত বণিকের মত ব্যবসায়ীদের যোগসাজেসে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যান।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) অতিরিক্ত দায়িত্ব হাবিবুর রহমান জানান, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা শিবরি কায়সারের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং হেডকোয়ার্টারে বিষয়গুলো লিখিতভাবে জানানোর পরে তাকে হেডকোয়ার্টার থেকে বদলি করে সেখানে সংযুক্ত করা হয়েছে।