১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার মাইনীমুখ বাজারে প্রতিবেশীর হাঁসে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আব্দুল অলীমসহ ৭-৮জন অতর্কিত হামলার শিকার হয় মোঃ নাছির উদ্দীন (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানাযায়, ভিকটিম নাছির উদ্দীন (৪৫) পিতা-মোঃ ধনুমিয়া, মাইনীমুখ বাজার দোকানে চা পান করার সময় প্রতিবেশী আব্দুল আলীম ও তার সহযোগীরা অতর্কিত হামলা করে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় মাইনীমুখ ন্যাশনাল হসপিটালের নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীর অবস্থা দেখে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ভিকটিমের পারিবার জানান, আলীমের প্রায় ২০টি হাস আমাদের ধান ক্ষেতে ক্ষতি করে। এজন্য একবেলা হাঁস বেধে রাখতে বলায় আলীমদের পরিবার ও ভিকটিম নাসিরের পরিবারের মহিলাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় আমার স্বামী বাজারে গেলে আব্দুল আলীমসহ ৩-৪ জন মিলে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে। এতে তার শ্বাস প্রশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়, তার প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি হাঁড় ভেঙে গিয়েছে বলে আশঙ্কা হচ্ছে। গুরুতর অবস্থা দেখে ডাক্তার চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি এর প্রকৃত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
মাইনীমুখ ন্যাশনাল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল (সৌরভ) জানান, গুরুতর আহত ও মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে আনা হলে আমরা প্রথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এক্স-রেতে বুঝা যাচ্ছে তার পিঠের দিকে মারাত্মক আঘাতে হাড় ভেঙ্গেছে। সামনে দিকের অবস্থা বুঝা যাচ্ছেনা। রোগী দাঁড়াতে পারছেন না। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাই তাকে চট্টগ্রামে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
লংগদু থানার ওসি (তদন্ত) সরজিৎ দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে রোগীর অবস্থা প্রত্যক্ষ করি। এ ব্যাপারে বাদীপক্ষ এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এই ঘটনার পেক্ষিতে বিএনপির উপজেলা সভাপতি মোঃ তোফায়েল ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে দেখা যায় ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলীমকে দল থেকে বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার দায়ে আব্দুল আলীমকে বহিষ্কার করা হলো। তিনি আরও বলেন, বিশেষ ক্ষেত্রে ও জরুরি প্রয়োজনে সংগঠনের গণতন্ত্র অনুযায়ী ৫ এর ক ধারায় অঙ্গসংগঠনের যেকোন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করার কর্তৃত্ব উপজেলা কমিটি রাখেন।
