রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সাবেক বিএনপি নেতা পিতা-পুত্রের নেতৃত্বে হামলায় ইতালী প্রবাসী মোঃ মাসুম শেখ (৪৫) মারাত্বক আহত হয়েছে।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সাবেক বিএনপি নেতা পিতা-পুত্রের নেতৃত্বে হামলায় ইতালী প্রবাসী মোঃ মাসুম শেখ (৪৫) মারাত্বক আহত হয়েছে। তাকে থানা পুলিশ উদ্ধার করে শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। মাসুম বালিয়াকান্দি হাসপাতাল এলাকার সামাদ শেখের ছেলে।
রাজবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ইতালী প্রবাসী মাসুম শেখ বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই বালিয়াকান্দিতে বড় হয়েছি। জীবিকার তাগিদে ২০০৭ সালে ইতালীতে যাই। আমার স্ত্রী বালিয়াকান্দি কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরীকালীন বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুর ছেলে ছাত্রদল নেতা খোন্দকার শফিউল আজম শিবলু তাকে উত্যক্ত করতো। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়। পরে আমার স্ত্রী বালিয়াকান্দি থেকে বদলী হয়ে ফরিদপুরে চলে যায়। মামলাটি প্রত্যাহার করে। আমার কাছে বিভিন্ন সময় টাকা দাবী করে। বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডিও করা হয়।তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) রাতে ইতালী থেকে দেশে আসি। শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) বালিয়াকান্দিতে জুম্মার নামাজ আদায় করে পিতার কবর জিয়ারত করে বাড়ী ফেরার পথে চুন্নু, তার ছেলে শিবলু সহ লোকজন নিয়ে আমার কাছে এসে ১০ লক্ষ টাকার দাবী করে। আমি দিতে অস্বীকার করায় আমার উপর এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। থানা পুলিশ আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে। আমি থানায় মামলা দিতে চাইলেও মামলা গ্রহণ করেনি। পরে সন্ধ্যায় থানা পুলিশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ বিষয়ে আমি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। তাদের চাহিদা পুরণ না করায় আমি সহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তবে এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুর ছেলে ছাত্রদল নেতা খোন্দকার শফিউল আজম শিবলুর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, একটি ফোন পেয়ে আমি দ্রুত গিয়ে ইতালী প্রবাসীকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তিনি কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।