রাজবাড়ীর পাংশায় ওসি সহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

 রাজবাড়ী প্রতিনিধি ॥

রাজবাড়ীর পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হাওলাদার সহ তিন জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার দাবীতে পাংশায় উপজেলার মাছপাড়া ও কলিমহর ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক সমাজ ও স্থানীয় জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন, মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মিয়া টিপু, কলিমহর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির নেতা বিধান কুমার বিশ্বাস, কলিমহর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মনির, মাছপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের নেতা এনামুল সরদার, আব্দুল মোমিন প্রমুখ। এ সময় কয়েক শত গাড়ি রাস্তার দু পাশে দাড়িয়ে থাকে যে কারণে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
এরআগে সকালে পাংশা শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তবা অবিলম্বে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, একজন ভাল পুলিশ অফিসারের নামে মামলা দিয়ে হয়রানী করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। মানববন্ধন কর্মসুচীতে পাংশার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে অপহরণ মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও পুলিশের কাজকে বিঘ্নিত করার জন্য ওই গৃহবধূ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে দাবি করেছেন ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

জানা গেছে, ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে এক নারী বাদী হয়ে গত ২৫ মার্চ পাংশা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাঁচ নম্বর আসামী অভিযোগকারী গৃহবধু।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “অপহরণ মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও পুলিশের কাজকে বিঘ্নিত করার জন্য রিমা খাতুন তৃতীয় পক্ষের প্ররোচনায় আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।”
উল্লেখ্য, পাংশার মাছপাড়া ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামের গৃহবধু বাদী হয়ে রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হাওলাদার ও হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।  

এলাকার কয়েকজন সচেতন লোকজন বলেন, বিএনপির একটি গ্রুপকে ইন্ধন দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করানো হচ্ছে। আমরা চাই ঘটনার সঠিক তদন্ত। ওসি এখন মামলার কথা বলছেন, তাহলে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দিলেন কেন? নিয়মিত মামলার আসামী ছেড়ে দেওয়ার কারণ কি?। এরকম নয়তো ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না। বিষয়টি চরম রহস্য ঘেরা। সঠিক তদন্ত পুর্বক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।