রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত, লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের রাঙ্গীপাড়া গ্রামে ক্যাপসিকাপ,বিভিন্ন জাতের বড়ই,মাল্টা,কমলা সহ কৃষিতে এবং কৃষি চাষাবাদে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এই এলাকার মানুষ প্রায় ২ যুগ তামাক চাষ করে অনেকেই হয়েছেন দেউলিয়া। তাই, বর্তমানে তামাক চাষের পরিবর্তে ক্যাপসিকাপ,পেঁপে,বড়ই সহ বিভিন্ন প্রজাতির কৃষি ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করছে সাধারণ কৃষকগন।

 তবে রাঙ্গীপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাছির উদ্দিন,এর পরামর্শে এই এলাকার কৃষিতে প্রবেশ করতেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সাধারণ কৃষকদের বীজ সংগ্রহ থেকে শুরু করে ফসল বাজার জাত করা পর্যন্ত রয়েছে তার ব্যাপক পরামর্শ। মোঃ নাছির উদ্দিন, ছুটি পেলেই নিজ গ্রামে এসে গ্রামের কৃষকদের কে বিভিন্ন দিগ নির্দেশনা দিয়ে থাকেন স্বর জমিনে। এই রাঙ্গীপাড়া গ্রামের ২ কৃষক মোঃ আসাদুল ইসলাম,পিতাঃ মৃত নুর মুহাম্মদ ও মোঃ আঃ মালেক,পিতাঃ মৃত সামসুদ্দিন প্রধান এই দুজন কৃষক প্রথম বারের মতো ২৫ শতক করে ৫০ শতক আবাদি জমিতে ৪০০০(চার হাজার)করে মোট ৮০০০(আট হাজার)ক্যাপসিকাপ চারা রুপন করে।

ব্যাপক আয়ের সম্ভাবনা স্বপ্ন দেখছেন। এছাড়া, এই এলাকার অনেক কৃষক পেঁপে,বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল বড়ই,মাল্টা,কমলা সহ ড্রাগন ফলের চাষ করে আসছে। তবে, এসব এলাকায়, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকার কারনে, কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনে পানি সেচ দিতে সাধারণ কৃষকদের অনেক খরচ বেশি গুনতে হয়। শুধু মাত্র ১টি ব্রিজ মাইনীমুখ বাজার হতে জারুল বাগান নির্মাণ হলে এবং গাউছপুর হতে মধুমাছড়া ব্রিজটি পূর্ণ নির্মাণ হলে ৩টি (বগাচতর,ভাসান্যাধম এবং গুলসাখালী) ইউনিয়নের সকল কৃষকগন ফসলি জমি হতে পরিবহণ করতে পারলে ব্যাপক লাভবান হবে। 

বর্তমানে অনেক পরিবহণ খরচ করে এই এলাকার কৃষকগন তাদের উৎপাদিত ফসল রাঙ্গামাটি,চট্টগ্রাম এমনকি ঢাকা শহরে নিয়ে জায়। এরুপ বিচ্ছিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থায় কৃষকদের খরচ গুনতে হয় অনেক বেশি। তবে, ব্রিজ গুলো নির্মাণ হলে এবং বগাচতর ও ভাসান্যাধম ইউনিয়নে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযুগ হলে, এখানকার প্রত্যেক কৃষকগন প্রতি বছর ব্যাপক আয়ের সম্ভাবনা দেখবে। এছাড়াও, এখানকার কৃষকদের আরো দাবি হলো যে, যে কৃষক, যে চাষ করে আসছে ঐ চাষের উপর ভিত্তি করে লংগদু উপজেলা কৃষি অফিস হতে কৃষি প্রণোদনা,কৃষি ঋন, কৃষি ভর্তুকি প্রদান করিলে সাধারণ চাষিরা বেশি উপকৃত হবে বলে জানায়।