ঐতিহ্যবাহী লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ তুলে রাস্তার দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) অত্র প্রতিষ্ঠানের সামনে শহরের থানা রোডে দুপুর সাড়ে ১১ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পযর্ন্ত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। এসময় বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

 লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়,কোনো কারন ছাড়াই বিদ্যালয়ে টিফিন বন্ধ ও বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশনা বন্ধ রাখা হয়েছে, বিদ্যালয়ের আইসিটি ও বিজ্ঞান ল্যাব অচল থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ,বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের কমনরুম, শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক কোচিং পড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে, বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী বন্ধ রাখা হয়েছে এবং কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতি প্রমানিত হলেও নেওয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। বিদ্যালয়ে দরিদ্র তহবিলের টাকা থাকলে এর হিসাব নেই।

শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, জেলার সুনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বর্তমানে নিম্নমূখী।এর কারণ হিসেবে শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস না নেওয়াকে দায়ী করছেন। এসময় শিক্ষকরা টিউশনি পড়াতে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা দ্রুত চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধান করার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করার আগে তাদের অভিযোগগুলো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়নি।

সকল শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে বিদ্যালয়ের টিফিন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী ও আইসিটি ল্যাব দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, এগুলো দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি জানান, বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক কোচিং চালাচ্ছেন না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ খুবই সতর্ক রয়েছেন। বিদ্যালয়ে ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালু থাকায় টিফিন বন্ধ রয়েছে তবে অভিভাবকরা দাবি করলে পুনরায় টিফিন ব্যবস্থা চালু করা হবে। এসময় শিক্ষার্থীদের তুলেধরা অন্যন্য সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯১৯ সালে, আর জাতীয়করণ হয় ১৯৮১ সালে বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১২৩৫ জন শিক্ষার্থী ও ৪৭ জন শিক্ষক রয়েছেন।