আজ ( ৫ এপ্রিল, ২০২৫) বিগত জুলাই অভ্যূত্থানে যাত্রাবাড়ী এরিয়ায়  গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন যন্ত্রণা ভোগের পর মৃত্যুবরণ করেন আশিকুর রহমান হৃদয়। তার পরিবারের পাশে দাড়ালেন ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। 

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার পশ্চিম যৌথা গ্রামের কৃতিসন্তান আশিকুর রহমান হৃদয় (বয়স: ১৭) শহীদদের তালিকায় যুক্ত হলেন। গত ১৮ই জুলাই যাত্রাবাড়ীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। দীর্ঘদিন মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগের পর অবশেষে ২০২৫ সালের ৪ই এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তিনি পশ্চিম যৌথা গ্রামের বাসিন্দা; পিতা আনসার হাওলাদার ও মাতা মোরশেদা বেগমের সন্তান। তার ঠিকানা: ০৮ নং ওয়ার্ড, বাউফল ইউনিয়ন, বাউফল থানা, জেলা পটুয়াখালী।

শহীদ হৃদয়ের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে এবং তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের একটি প্রতিনিধি দল তার গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাকির আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদসহ বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

প্রতিনিধি দল শহীদের কবর জিয়ারত করেন এবং তার পরিবারের খোঁজখবর নেন। তারা শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মুজাহিদ ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা আজমাইন সাকিব, বাউফল পৌর  ছাত্রদলের সাবেক জুবায়ের আল মামুন পটুয়াখালী জেলা ও বাউফল উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাকির আহমেদ বলেন,
"শহীদ আশিকুর রহমান হৃদয় আমাদের প্রেরণা, আমাদের সাহস। তাঁর আত্মত্যাগ ছাত্র সমাজকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সব সময় তাঁর পরিবারের পাশে থাকবে—এটাই আমাদের অঙ্গীকার কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশন আহত হৃদয়ে কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করে নেই বরঞ্চ তাদের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্ট আন্দোলনের শহীদ ও আহত পরিবারকে টাকা না দেওয়া হয়রানি করা এবং সত্যিকার অর্থে যারা জুলাই আগস্ট আন্দোলনের আহত নিহত হয়েছে তাদের কোন প্রকারের আর্থিক সাহায্য না দিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এরই ফলশ্রুতিতে চিকিৎসার অভাবে এই জুলাই আগস্ট আন্দোলনের সত্যিকারের বীর কে হারালাম  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সব সময় নিহত হৃদয়ের পরিবারের পাশে থাকবে।"
জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ বলেন,
"‘জুলাই ফাউন্ডেশন’ কথায় কথায় জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আহত নিহতের চিকিৎসা ও আর্থিক সুবিধার কথা বলে  , অথচ ৫ আগস্ট আন্দোলনের পর আট মাসেও আহত  হৃদয়ের পাশে তারা দাঁড়ায়নি।এরফলে শহীদ হৃদয়ের যথাযথ চিকিৎসা সম্ভব হয়নি এই ফাউন্ডেশন এখন প্রমাণ করেছে—তারা শুধু রাজনৈতিক শোডাউনের ও অর্থ আত্মসাধের  হাতিয়ার । কিন্তু শহীদ হৃদয়ের মতো সাহসী সন্তানদের ভুলে যাওয়ার সুযোগ আমরা দিই না।"
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মুজাহিদ ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা আজমাইন সাকিব, বাউফল পৌর  ছাত্রদলের সাবেক জুবায়ের আল মামুন পটুয়াখালী জেলা ও বাউফল উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।