নিহত জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মো. এত্তাজ আলীর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিহত অপরজন সালামের সঙ্গে থাকা রানিহাটি- ফতেপুরের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল মতিন । তিনি হরিনগর স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি করে জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালামসহ দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছে রহিম বাদশা ও আব্দুস সালাম টিটু।  বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় রানিহাটি কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা।

নিহত জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মো. এত্তাজ আলীর ছেলে। তিনি ওই  ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিহত অপরজন সালামের সঙ্গে থাকা রানিহাটি- ফতেপুরের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল মতিন । তিনি হরিনগর স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, রানীহাটি কলেজের সামনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে বসে ছিলেন আব্দুস সালামসহ তাঁর সঙ্গীরা। 

মুখোশপরা ২৫/৩০ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তদের ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুস সালাম।  এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আব্দুল মতিন , পালাতে গিয়ে আহত রহিম বাদশা ও টিটুকে  স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ  হাসপাতালে ভর্তি করে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হসাপাতলের চিকিৎসক ডা. মিম ইফতেখার জাহান বলেন, রাত ৯টায় আব্দুল মতিন কে এখানে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথা ও পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে হাসপাতালে আনার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি দুজন রহিম বাদশা ও টিটু চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন আব্দুস সালাম। এই বিরোধের জের ধরে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।জেলা পুলিশ সুপার সাইদুল হাসান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।