রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে লিখিতভাবে এ অভিযোগ দাখিল করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও প্রচার সেলের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গুমের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরাও।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত ১১টি গুমের ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র বিএনপি সমর্থক বা নেতাকর্মী হওয়ার কারণে ভুক্তভোগীরা গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার মধ্যে বেশ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং প্রাথমিকভাবে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শুনে নেন। তিনি জানান, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় তিনি ভুক্তভোগীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গুম করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। তাদের দাবি, এসব অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে দলটি বিভিন্ন সময়ে দাবি করে এসেছে, বিএনপি গুমের মতো স্পর্শকাতর বিষয়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে এবং এসব অভিযোগের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অভিযোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত এবং নিরপেক্ষ বিচার হওয়া উচিত।