“দূর্নিতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা -গড়বে আগামীর শুদ্ধতা “এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দূর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এ গণশুনানীতে ২৮ টি দপ্তরের বিরুদ্ধে মোট ১২৮ টি অভিযোগ জমা পরেছে। গণশুনানীর প্রথম ভাগে আমন্ত্রিত অতিথিগন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ অনুষ্ঠানে শেরপুরের মাননীয়  জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় কমিশনার( তদন্ত) দূর্নীতি দমন কমিশন মিঞা মুহাম্মাদ আলী আকবর আজিজী,  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভূঞা। এ সময় তরফদার মাহমুদূর রহমান বলেন দূর্নিতি হল ক্ষমতার অপব্যাবহার। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে কাউকে ঠকানোকেই দূর্নিতি বলে তাই আমরা ক্ষমতার অপব্যাবহার না করে দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হই।

এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের দূর্নিতির কথা তুলে ধরে ভূক্ত ভূগিরা বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেন।তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য এক ভূক্তভুগি শেরপুর জেলা বি আর টি এ এর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  অভিযোগ তুলেন সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অফিসের স্টাফ মনিরকে বহিস্কার আদেশ দেন  কমিশনার( তদন্ত) দূর্নীতি দমন কমিশন মিঞা মুহাম্মাদ আলী আকবর আজিজী। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি শেরপুর এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন ডাঃ মোঃ এমরান হোসেন তার অভিযোগের ভিত্তিতে শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডি জি এম খন্দকার তমাল আলমকে নকলা থানার চন্দ্রকোনা এলাকার একটি বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন করন আদেশ দেন, কমিশনার( তদন্ত) দূর্নীতি দমন কমিশন মিঞা মুহাম্মাদ আলী আকবর আজিজী।
শেরপুর তিতাস গ্যাস অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন মোঃ এনামুল ইসলাম নামের এক ভূক্তভূগি তিনি বলেন সব মিলিয়ে ২৮ হাজার টাকা ২০১৫ সালে জমা দেওয়ার পরেও আমার বাসায় এখন পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ আসেনি। এছাড়াও শেরপুরের বিদ্যুৎ অফিস, জেলা রেজিস্টার অফিস,শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন দপ্তরের নামে নানা ধরনের অভিযোগ তুলে ধরেন  ভুক্তভোগীরা।
 এ অনুষ্ঠানে শেরপুরের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন উপস্থিত থেকে যার যার অভিযোগের তাৎক্ষণিক  জবাব দেন উক্ত জবাবের ভিত্তিতে কমিশনার( তদন্ত) দূর্নীতি দমন কমিশন মিঞা মুহাম্মাদ আলী আকবর আজিজী আদেশ দিয়ে যান।  এ গন শুনানির মাধ্যমে শেরপুরের অনেক নিরিহ ভুক্তভোগী গন  সুষ্ঠ বিচার পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন আমন্ত্রিত  অতিথিগন। তবে এ গন শুনানীতে বিচার বিভাগের কোন বিচারক অংশ গ্রহন করেননি।
দুদক কার্যালয়ের আমন্ত্রনে আরো উপস্থিত ছিলেন শেরপুর প্রেসক্লাবের দুই  অংশের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ শেরপুরের সাংবাদিক গন।