শেরপুরে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও সচেতনতা মূলক সভা

গতকাল  ১ ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস। মরণব্যাধি এইডসকে রুখে দিতে বিশ্ব সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়। প্রতিবারের মতো এবারো ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইডিভ/এইডস যাবে চলে’ এই শ্লোগানকে ধারন করে বাংলাদেশে যথাযথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়েছে।এর অংশ হিসেবে শেরপুরে সিভিল সার্জন অফিস ও আসক্ত পুনর্বাসন সংস্থা (আপস) এর যৌথ আয়োজনে এবং জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল, সেভ দ্যা চিলড্রেন, আপস-কেয়ার বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম-এর সহযোগিতায় বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও সচেতনতা মূলক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন-এঁর নেতৃত্বে র‌্যালিটি সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন-এঁর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালি ও আলোচনা সভায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।ইউএনএইডস’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন এইডস আক্রান্ত রোগী রয়েছে এবং প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতী রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয় এবং গত এক বছরে নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৮ জন। স্বাস্থ্য অধদিপ্তরের তথ্যমতে গত বছর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ২৬৬, তবে এবার এ সংখ্যা কমে ১৯৫ হয়েছে। গতবারের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও, সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে আছে বলেই মনে করছেন  বিশেষজ্ঞরা।সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এইডস সম্পর্কিত বিশ্ব কর্মসূচির দু’জন তথ্য কর্মকর্তা জেমস ডবøু বুন এবং টমাস নেটটার ১৯৮৭ সালের আগস্টে প্রথম বিশ্ব এইডস দিবসের পরিকল্পনা করেন। এইডস সম্পর্কিত বিশ্ব কর্মসূচির (বর্তমানে ইউএনএইডস নামে পরিচিত) পরিচালক ড. জোনাথন মান-এর কাছে জেমস ডবøু বুন ও টমাস নেটটার তাদের ধারণাটি উপস্থাপন করেন। ড. জোনাথন মান তাদের ধারণাটি আমলে নিয়ে ১৯৮৮ সালের ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবসটি প্রথম পালন করা উচিত বলে একমত হন।এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে এই মরণব্যাধি একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমিত হয়। ভাইরাসটি ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অকার্যকর করে দেয়। ফলে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রোগী। তাই রোগটি থেকে বাঁচতে প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।