ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন. যাহ… ফস করে বেরিয়ে গেল ২৮টা বছর! ২৯-এর দরজায় এসে দাঁড়িয়ে পড়লাম। কী অদ্ভুত এই সময়—কোথা দিয়ে যে সরে যায়, কিছুই টের পাওয়া যায় না। ফিরে তাকিয়ে দেখি—এই ২৮ বছর ধরে ১২ জনের সংসার করে কী শিখলাম? আসলে আমরা তো এই জগৎ সংসারে এসেছি শেখার জন্যই। এই সংসার জীবন থেকে ঠিক কী শিখলাম? শিখে তো আগেই ছিলাম—বিয়ের আগে আমার দিদিমা বলেছিলেন, ‘বিয়ে কোনও সুখ নয়, বিয়ে হলো দায়িত্ব।’ সেই কথাটাকেই মাথায় রেখেই আমি সংসার নামক মঞ্চে অভিনয় করতে নেমে পড়েছিলাম। এ যে এক বিশাল নাটক! চরিত্রের অভাব নেই। বাবা রে বাবা! চারপাশে সবাই বাঘা বাঘা অভিনেতা-অভিনেত্রী।
তিনি আরও লেখেন, এখন বেশ আছি। মাথার চুলে রুপোলি রং লেগেছে, হাঁটু মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেয় আমি প্রবীণের পথে হাঁটছি। তবু কে মানে বলো! আমাদের এই রঙ্গমঞ্চে আমরা সবাই রাজা—আর রানীদের জোর সব থেকে বেশি।
অপরাজিতা আঢ্য ও অতনু হাজরার প্রেমের শুরু শ্যুটিং সেটে। অতনু তখন অভিনেত্রীকে একটি কাজে অ্যাসিস্ট করছিলেন। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান প্রায় ১৪ বছর হলেও প্রেমে অন্তরায় হয়নি তা। পরিবারের অসম্মতি উপেক্ষা করে ১৯৯৭ সালে বিয়ে করেন তারা।
দীর্ঘ ২৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে বয়সের ফারাক কিংবা নিঃসন্তান হওয়ার কষ্ট—কিছুই ভালোবাসার বন্ধনকে ভাঙতে পারেনি অপরাজিতা-অতনুর।