টাঙ্গাইলের সখিপুরে একই রাতে সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুরুল হক মজনুর কাহারতা রামখাপাড়ার বাড়িসহ ৪ বাড়িতে দূধষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুরুল হক মজনুর বাসায় গিয়ে দেখা যায় ঘরের দরজার যে জায়গায় আড়ানি রয়েছে তার কিছু উপরে টিন কেটে হাত প্রবেশ করে আড়ানি খুলে চোর ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা কাউন্সিলর ও তার স্ত্রীর মশারীর উপরে কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে টর্চলাইটের আলোতে ব্লেজারের পকেটে থাকা ১৯ হাজার টাকা ও কিছু কাপড় নিয়ে যায়। এরপর আলমারী খুলতে আলমারীর হাতলে চাপ দিতেই হাতল ভেঙ্গে শব্দ করে, এতে ওই ঘরে থাকা ব্যক্তিদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারা চোর চোর বলে চিৎকার করলে চোর দৌড়ে পালিয়ে যায়। পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুরুল হক মজনুর সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ঘটনা আমার পূর্ব পুরুষদের আমল থেকেই চলে আসছে।

পুর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার ৪টি গরু চুরি করে নিয়ে গেলে তাদের পিছু করলে যমুনা সেতুর (বঙ্গবন্ধু সেতু) পাশে ওই চোর গরুর ও ট্রাক রেখে পালিয়ে যায়, সেখান থেকে উদ্ধার করে সখিপুর নিয়ে আসি।২০১৬ সালে আমার দোকান তিন ভাই বস্ত্রালয়ে ১৪টি তালা ভেঙ্গে পুরো দোকান লুট করে নিয়ে যায় চোরেরা। গত কালের ঘটনায় সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছি। এদিকে সখিপুর অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার এবাদত হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ওই বাড়ির সকলেই নেশায় আক্রান্ত ছিল কিন্তু তাদের দরজার তালা ভাঙলেও আরো তালা থাকার কারণে চোর ভিতরে ঢুকতে পারে নাই। নেশার কারণে তারা সখিপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানা যায়। পৌরসভার নৈশপ্রহরী এম, এ হামিদের বাড়ীর সামনে দোকানের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দোকানের মালামালসহ টাকা নিয়ে গেছে।

দোকানের মালিক জানায়, দোকানের ১ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে এবং একই পরিবারের ৬-৭জনকে খাবারের সাথে নেশা মিশিয়ে অজ্ঞান করে রেখেছে। তারা সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি আছে। সিকদার পাড়ার শাহজাহান কমান্ডারের ছেলে শহিদুল ইসলামের বাড়ীতে নেশা খাইয়ে চুরি করার চেষ্টা করেছে। আখম খলিলুল্লাহ  বাড়ীতেও নেশা প্রয়োগ করেছে চোরেরা, এতে খলিলুল্লাহ সহ তার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, দিনের বেলা কোন এক সময় চোর চক্রের সদস্যরা নানা বেশে বিভিন্ন বাড়িতে প্রবেশ করে নেশাদ্রব্য প্রয়োগ করে রাখে এবং রাতের বেলা সুবিধাজনক বাড়ীতে চোরচক্র চুরি করে। সখিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম  বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।