টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় কাকড়াজান, কালিয়া, বড়চওনা,
বহেড়াতৈল,গজারিয়া,দাড়িয়াপুর,যাদবপুর,বহুরিয়া,হতেয়া রাজাবাড়ি,হাতীবান্ধা ১০টি
ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যান বহাল তবিয়তে রয়েছে ও ৪টিতে
প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের নামে বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলার মামলায় আসামী থাকলেও থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারনে নীরব।
বিভিন্ন ইউনিয়নে আ.লীগের ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন- ১নং কাকড়াজান ইউনিয়নের ইউপি
চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সদস্য মো.দুলাল হোসেনকে অপসারণ করে উপজেলা
একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া
হয়েছে। ২নং বহেড়াতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বহেড়াতৈল ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি
মো.ওয়াদুদ হোসেনকে অপসারণ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) ওয়াসিমকে
প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।৩নং গজারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড.আনোয়ার
হোসেন.গজারিয়া ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারন সম্পাদক,৪নং যাদবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ
কে এম আতিকুর রহমান আতোয়ার ,উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ও জেলা আ.লীগ সাধারন
সম্পাদক সাবেক এমপি এড.জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের এর সহোদর ছোট ভাই, ৫নং
হাতীবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান খান রবিন,হাতীবান্ধা ইউনিয়ন আ.লীগ
সাধারন সম্পাদক, ৬নং কালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.জামাল হোসেন,উপজেলা
আ.লীগ সাবেক সদস্য, ৭নং দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আনছার আলী
আসিফ,ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি,৮নং বহুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাকে
অপসারণ করে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো.মনসুর আহমেদকে প্রশাসক নিয়োগ করা
হয়েছে।,৯নং হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান,কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ
থেকে আ.লীগ নেতা,১০নং বড়চওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগ সহ সভাপতি মো.
আজহারুল ইসলামকে অপসারণ করে ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজকে প্রশাসক নিয়োগ করা
হয়েছে। এমনকি কয়েকজ ইউপি চেয়ারম্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের হামলার মামলায়
এজাহারে আসামী থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। সখিপুর থানা অফিসার
ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূইয়া বলেন,আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা
অব্যাহত আছে।