৭ আগস্ট বুধবার উপজেলার চরব্রাহ্মন্দী গ্রামের সরকারি গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত আতংকিত সংখ্যালঘু হিন্দুদের ভয়ভীতি দূর করতে স্থানীয়দের সাথে পরামর্শ করে বিরোধ মিটিয়ে দেন ছাত্ররা। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাজু আহমেদ জানিয়েছেন স্থানীয় ছাত্র –জনতাকে সঙ্গে নিয়ে একান্ত দায়িত্ববোধ থেকে তারা এই দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে ভাংচুরের শিকার মুক্তিযোদ্ধা ভবন, নবনির্মিত সদরপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, ইউএনওর বাসভবন, থানা ভবনের বাইরের অংশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।

ফরিদপুরের সদরপুরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়া এলাকাবাসীকে নিরাপত্তা দেয়া, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, মন্দির পাহারা দেয়া, ভাংচুরের শিকার বিভিন্ন সরকারি অফিস, থানা ভবন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, সদরপুর থানা থেকে লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর পক্ষে সদরপুর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

৭ আগস্ট বুধবার উপজেলার চরব্রাহ্মন্দী গ্রামের সরকারি গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত আতংকিত সংখ্যালঘু হিন্দুদের ভয়ভীতি দূর করতে স্থানীয়দের সাথে পরামর্শ করে বিরোধ মিটিয়ে দেন ছাত্ররা। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাজু আহমেদ জানিয়েছেন স্থানীয় ছাত্র –জনতাকে সঙ্গে নিয়ে একান্ত দায়িত্ববোধ থেকে তারা এই দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে  ভাংচুরের শিকার মুক্তিযোদ্ধা ভবন, নবনির্মিত সদরপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, ইউএনওর বাসভবন, থানা ভবনের বাইরের অংশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।  

এ সময় শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, আমরা ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও মন্দির রক্ষায় পাহারা দিচ্ছি।  সদরপুরের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের  অন্যান্য অনেকই আছে যেমন: হাসিবুল হাসান রিমেল, মোঃ ইমরান মিয়া, তানজিল হোসেন,মাহমুদ হাসান, সুজন শেখ, আবির আহমেদ আকাশ, মোঃ ইউসুফ হোসাইন, মহব্বত হোসেন, নিশি আক্তার, তুষার শিকদার,  মিজানুর রহমান, বিপ্লব, আকিব প্রমুখ।  

৫ আগস্ট (সোমবার)  প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সদরপুরে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল চলাকালে সুযোগ সন্ধানী একদল দুর্বৃত্ত সদরপুর থানা ভাংচুর, ইউএনও অফিস, বাসভবনে ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং সরকারি গাড়ীতে অগ্নিসংযোগসহ সদরপুর থানা থেকে বিভিন্ন অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং থানা পুলিশের সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলে সদরপুর কার্যত প্রশাসনিকভাবে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে।  এ ঘটনার পর স্থানীয় অধিবাসীরা নিরাপত্তাহীনতাবোধ করতে থাকে এবং দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা যে কোন মূহুর্তে আক্রমণের আশংকায় ভুগতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সদরপুরের শিক্ষার্থীরা এই অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন।