নওগাঁর মান্দা উপজেলায় সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও জনকল্যাণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও কঠোর অবস্থানের ফলে চলতি বছরে উপজেলায় ৫৬৬ দশমিক ১৩ একর সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধার করা সম্পত্তির মধ্যে কালিসফা মৌজায় ১০৮ দশমিক ৭৫ একর, মহানগর মৌজায় ১৫৫ দশমিক ১৯ একর, বিলউথরাইল মৌজায় ২৬৪ দশমিক ৫৫ একর, বাঁকাপুর মৌজায় ২৩ দশমিক ২৩ একর এবং চকবালু মৌজায় নদীর জেগে ওঠা চর এলাকায় ৯ দশমিক ৪১ একর। উদ্ধারকৃত এসব সম্পত্তি সরকারি ‘এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত’।
প্রতিবছর বোরো মৌসুম এলেই এসব সম্পত্তির দখল নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় উত্তেজনা ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হতো। এসব জটিলতা নিরসনে ইউএনও শাহ আলম মিয়া মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ‘স্পট গণশুনানি’র মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ফলে এবছর কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব হয় এবং প্রকৃত মালিকগণ তাদের জমি বুঝে পান।
এছাড়া বহুদিন ধরে অবহেলিত বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকার বেড়িবাঁধ সংস্কার করায় এবার নদীপাড়ের শত শত পরিবার বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন তা পড়ে ছিল মেরামতহীন অবস্থায়।
শিক্ষা খাতেও ইউএনওর কার্যক্রম প্রসংশনীয়। উপজেলার বালুবাজার এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। বাঁশের তৈরি সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতেন বালুবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালুবাজার উচ্চবিদ্যালয় এবং স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় চেয়ারম্যান ইলিয়াস খান এলজিএসপির অর্থায়নে ব্রিজটির অর্ধেক অংশ ঢালাই করলেও বাকি অংশটি অর্থের অভাবে রয়ে যায় অসমাপ্ত।
সম্প্রতি ইউএনও শাহ আলম মিয়া নিজ উদ্যোগে এই ব্রিজের অসমাপ্ত অংশের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। খুব শিগগিরই সম্পূর্ণ ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে ইউএনও শাহ আলম মিয়া যে অঙ্গীকারবদ্ধ ভূমিকা পালন করছেন, তা স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।