• কয়েকশো মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে ইউনো সাহেবের নিকট দরখাস্ত দিয়েছি কোন ব্যবস্থা হয়নি , উল্টে ভরাটকৃ্ত খালে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে । • খাল যদি ভরাট থাকে তাহলে আমাদের জমিগুলো চাষের জন্য অকেজু হয়ে যাবে । • খাল খনন হলে হাজারো কৃষক কৃষি করে বেঁচে যাবে । • সরকারের জায়গা সরকার নিয়ে যাক , কিন্ত আমাদের খালটা খনন করে দেওক

সরেজমিনে দেখা যায় পানি নিষ্কাষনের পথবন্ধ , বৃষ্টি ও বর্ষার মৌসুম এলেই লেগে থাকে জলাবদ্বতা , দেউশ সাজঘর বড়ধুশিয়ার এই খালটি জলধারের মুখটি বন্ধ করে স্থানীয়রা স্থাপনা ও মাটি দিয়ে ভরাট করে রেখেছে । এতে পাণি নিষ্কানের অভাবে নষ্ট হয় শত শত বিঘা জমির ফসল ।

স্থানীয় কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন খালের অভাবে তিনটা মাঠ বাদ যাইতাছে , আজকে তিন চার বছর ধরে শুনতাছি এই খালটি খনন করা হইবো , কিন্ত এখন হুনতাছি গুচ্ছ গ্রাম বানানো হইবো আমাদের ছেলে মেয়ে কি খাইয়া বাচবো , আমাদের পরিবারের মধ্যে কেউ চাকুরী জীবিও নাই সরকারের কাছে কথা কওইন্নাও কেউ নাই , সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে সরকার যাতে খাল খনন কইরা দে , আমরা যাতে বাচঁতে পারি । গুচ্ছ গ্রাম দিলে অসুবিধা হইয়া যাইবো কারন পানি সরানোর ব্যবস্থা নাই ।

 আরেক কৃষক রবি বলেন আমি এই জমিটা তিনবার লাগাইছি এই পানি নিষ্কাশনের অভাবে , তিনবার চাষ করলে কৃষকের আর কিছুই থাকেনা । সরকারের কাছে এই কৃ্ষকের দাবি এই খাল ছাড়াও অন্যত্র জায়গা আছে গুস্ত গ্রাম করার, এই খালটি খনন করলে প্রায় হাজারো কৃষক কৃষি করে বাইচ্চা যাইবো ,  

প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী নদী, খাল, বিল, দিঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে, এমন কোনো ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ সেগুলো ভরাট করা যাবে না।

জানতে চাইলে কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শওকত আরা কলি জানান , খালের জায়গায়ত আশ্রয়ণ প্রকল্প হলে আমাদের সে ব্যাপারে জানানোর কথা সে ব্যাপারে আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাদিরুল ইসলাম খাঁন বলেন খালের জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্প করা যাবেনা । এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।