ফেসবুকে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গাজী টিভির নিউজরুম এডিটর রহমান সারা গাজীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঢাকার হাতিরঝিল লেক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এটি আরেকটি নৃশংস হামলা। গাজী টিভি হল একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবাদ চ্যানেল যার মালিক গোলাম দস্তগীর গাজী সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন।’

গণহত্যার দায়ে বিতাড়িত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে যখন সারাদেশে যখন হত্যা মামলা দায়ের হচ্ছে তখন হাতিরঝিলে এক নারী সাংবাদিকের আত্মহত্যার ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি নিজেও একজন উস্কানিদাতা।

ফেসবুকে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গাজী টিভির নিউজরুম এডিটর রহমান সারা গাজীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঢাকার হাতিরঝিল লেক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এটি আরেকটি নৃশংস হামলা। গাজী টিভি হল একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবাদ চ্যানেল যার মালিক গোলাম দস্তগীর গাজী সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন।’ 

অথচ সদ্য এই মৃত্যুটির ব্যাপারে এখনও কোন তদন্ত হয়নি। বরং মৃত্যুর ঘন্টা খানেক আগে ফেসবুকে সাংবাদিক রাহনুমার সারাহ'র দেয়া তার নিজের এবং পরে তার স্বামীর দেয়া বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, এটা সম্পূর্ণ তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে সৃষ্ট হতাশা ও বিষণ্নতার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন।এ বিষয়ে সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র বলেন, "প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে সাত বছর পূর্বে আমরা পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ করেছিলাম। গতকাল সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় না ফিরে এক ব্যক্তিকে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল।"

তিনি বলেন, "পরে আমি তাকে ফোন করে বলি রাতে তো তুমি বাসায় আসতে তাহলে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়ে দিয়েছো? তখন সে বলল আমি ব্যস্ত আছি বলে ফোন রেখে দেয়। পরে রাত ৩টার দিকে খবর পাই সে হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে। পরে ঢামেক এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।"তিনি আরও বলেন, "আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াও হয়নি তবে বেশ কিছুদিন আগ থেকে আমার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা দুজনই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে আসব। দেশের এই পরিস্থিতিতে আর কাজী অফিসে যাওয়া হয়নি।"

এর আগে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তার সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকে রাহানুমা সারাহ লেখেন- "জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভাল।" এর কিছুক্ষণ পর তিনি লেখেন- "তোমার মত বন্ধু পেয়ে আমি ভগ্যবান। আল্লাহ তোমাকে সর্বদা মঙ্গল করুন। আশা করি, শীঘ্রই তোমার সব স্বপ্ন পূরণ হবে। আমি জানি আমরা একসঙ্গে অনেক পরিকল্পনা করেছি। দুঃখিত, আমাদের পরিকল্পনা পূরণ করতে পারছি না। আল্লাহ তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আশীর্বাদ করুন।" সাংবাদিক সারাহ'র এক সহকর্মী বলেন, ‘রাতে রাহানুমা হাতিরঝিলে গাছের নিচে বসে ছিলেন এবং একজন গার্ড তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এত রাতে এখানে বসে আছেন কেন। জবাবে বলেন, আমার গাড়ি আসবে, এলে চলে যাবো। এর কিছুক্ষণ পরই কেউ একজন পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে বলে শুনতে পান তিনি।’