পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। দেশের নানা প্রান্তে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। দেশের নানা প্রান্তে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই নরসিংদী সদর উপজেলার নুরালাপুর এলাকায় আলাদা নজর কাড়ছে ‘সাকিব এগ্রো ফার্ম’—যেখানে দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের স্বাস্থ্যবান পশুর পসরা নিয়ে ব্যতিক্রমী এক হাট গড়ে উঠেছে। ফার্মটিতে বর্তমানে রয়েছে ৫০টিরও বেশি কোরবানিযোগ্য গরু। সেই সঙ্গে থাকছে মহিষ, ভুটানি জাতের গরু ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লালিত স্বাস্থ্যবান ভেড়াও। প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালনের ফলে প্রতিটি পশুই হয়েছে সুস্থ ও নজরকাড়া গঠনের অধিকারী। ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও নুরালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, “আমরা সারা বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে পশু লালন-পালন করি। পশুদের খাবারে কোনো ধরনের কেমিক্যাল বা স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয় না। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং নিবিড় যত্নেই বড় হয় আমাদের প্রতিটি পশু।” প্রতিটি গরুর ওজন গড়ে ৪০০ থেকে ৮৫০ কেজির মধ্যে। মূল্য নির্ধারণেও রয়েছে ক্রেতাবান্ধব চিন্তাভাবনা, যাতে সাধারণ ক্রেতারাও সহজেই সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশুটি কিনতে পারেন। একজন আগত ক্রেতা জানান, “ফার্মে এসে খুব ভালো লাগল। পশুগুলোর স্বাস্থ্য চমৎকার, পরিচ্ছন্ন পরিবেশও মনোমুগ্ধকর। দামের দিক থেকেও অনেকটাই সহনশীল। আমরা বেশ সন্তুষ্ট।” শুধু নরসিংদী নয়—ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ আশপাশের জেলা থেকেও প্রতিদিনই ক্রেতারা ভিড় করছেন ফার্মে। সময়মতো হোম ডেলিভারি সুবিধা এবং অনলাইনে পশু দেখার ব্যবস্থাও চালু করেছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ। সততা, মান এবং পরিচর্যায় আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে সাকিব এগ্রো ফার্ম। কোরবানির পশু কেনায় নিরাপদ ও আস্থার একটি গন্তব্য হিসেবে এটি এখন ক্রেতাদের প্রথম পছন্দের তালিকায়।