সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বনবিভাগের সদস্যরা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এলাকা থেকে তিন কেজি হরিণের মাংস জব্দ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামে ইয়াসিন আলীর ফ্রিজ থেকে উক্ত হরিণের মাংস গুলো জব্দ করে বনবিভাগ। তবে, এ সময় কোন চোরাশিকারিকে আটক করতে পারেনি বনবিভাগ।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বনবিভাগের সদস্যরা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এলাকা থেকে তিন কেজি হরিণের মাংস জব্দ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামে ইয়াসিন আলীর ফ্রিজ থেকে উক্ত হরিণের মাংস গুলো জব্দ করে বনবিভাগ। তবে, এ সময় কোন চোরাশিকারিকে আটক করতে পারেনি বনবিভাগ। বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামে কয়েকজন চোরাশিকারী সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে কৌশলে মাংস বিক্রি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুড়িগোয়ালিনী বনবিভাগের স্টেশন অফিসার (এসও) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বনবভিাগের সদস্যরা চকবারা গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে ছবেদ গাজীর ছেলে ইয়াছিন গাজীর বাড়িতে তল্লাশী করে তিন কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। স্থানীয় জেলে আব্দুর রহিম বলেন, ছবেদ আলীর পুত্র ইয়াসিনসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয় নিয়ে এসে তার মাংস বিক্রি করে থাকে। ইতিপূর্বে গাবুরা থেকে একাধিকবার হরিণের মাংস সহ হরিণ শিকারীরা আটক হয়েছে তারপরও থামছে না হরিণ শিকার। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এদিকে, বনকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারে তারা। জব্দকৃত মাংস গুলো পরে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে মাটিতে পুতে বিনষ্ট করা হয়েছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে ইয়াছিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ফ্রিজ থেকে তিন কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় বন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।