অপারেশন ডেভিল হান্ট ধরা ছোঁয়ার বাইরে উখিয়া উপজেলা ক্ষমতার চাবিকাঠি খ্যাত জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর ক্যাশিয়ার ও সাবেক এমপি আব্দু রহমান বদি এবং সাবেক এমপি শাহেনা আক্তার বদি'র বাম হাত জালিয়া পালং ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম বাবুল। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ধরা কে শরা জ্ঞান করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিল , এই বাবুল এর ক্ষমতার কাছে উখিয়ায় কর্মরত অনেক এনজিও অসহায় ছিল তাদের কে সে বাধ্য করত প্রোগ্রামে জনপ্রতিনিধি না হয়ে তাকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে নিয়ে নিত ইচ্ছে মতো, গত ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এখন সে নিজের আসল রূপ পাল্টিয়ে ব্যবসায়ী নেতা হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ইউরো বাংলা ডুপ্লেক্স সিটি নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এই আবুল কাশেম বাবুল। তার এই অবৈধ অর্থ কে বৈধ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোটা অংকের টাকা দিয়ে দানবীর হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছে সবসময়। সে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে বিপুল পরিমাণ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে উখিয়া ও কক্সবাজার শহরের অনেকের থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ও আত্মসাত করেছে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে, তার প্রলোভনে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষ গুলো বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে, এত দিন তার ক্ষমতার প্রভাবের কারণে তারা এক প্রকার অসহায় ছিল, এই বাবুলের এইচ আর ট্রেডার্স নামে একটা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রতিবেদক এর হাতে এসেছে কিন্তু প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যুকৃত লাইসেন্সের প্রদত্ত ঠিকানায় গিয়ে তার কোন অফিস হদিস পাওয়া যায় নাই, এই রকম ভূক্তভোগী কয়েকজনের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন উপায়ান্তর না দেখে তার দেয়া চেক ও ষ্ট্যাম্প নিয়ে আমার স্ত্রী কে বাদি করে আদালতে মামলা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি, এখন আশাকরি ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে একটা সুবিচার পাব, নাম না প্রকাশ করার শর্তে আর একজন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেকের কাছে ধর্না দিয়েছি কেউ বিগত ৪/৫ বছর কোন কথা বলেনি, সবাই তার ক্ষমতার কাছে জিম্মি ছিল, এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য আবুল কাশেম বাবুলের ব্যবহৃত ০১৮১৮---৪৯৭ নং এ ফোন দিলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয়, আশা করি ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দু রহমান বদি ও শাহেনা আক্তার বদি'র বাম হাত ও জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী'র ক্যাশিয়ার আবুল কাশেম বাবুল এর একটা সুষ্ঠু বিচার হবে, তবে প্রথমেই যদি তাকে গ্রেফতার করা না হয় যেকোনো সময় সে গা ঢাকা দিয়ে পারে বা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত অথবা মিয়ানমার চলে যেতে পারে অথবা র্যাব এ কর্মরত তার ভাইয়ের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পারে, তাই তারই আগে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর আব্দু রহমান বদি ও শাহেনা আক্তার বদি'র বাম হাত এবং জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর ক্যাশিয়ার খাত আবুল কাশেম বাবুল কে গ্রেফতার এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন স্থানীয় লোকজন।