এই সৌন্দর্যে কিছুটা ভাটা পড়েছে গ্রিন গ্যালারি বাদামি আকার ধারণ করায়। তবু ফাগুনের আগমনে গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি যে কাউকেই বিমোহিত করবে। এবার এই সৌন্দর্যে সন্তুষ্ট নিউজিল্যান্ড।

সিলেটের লাক্কাতুরা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একদিকে টিলা, অন্যদিকে বিস্তৃত চা বাগান। এই সৌন্দর্যে কিছুটা ভাটা পড়েছে গ্রিন গ্যালারি বাদামি আকার ধারণ করায়। তবু ফাগুনের আগমনে গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি যে কাউকেই বিমোহিত করবে। এবার এই সৌন্দর্যে সন্তুষ্ট নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের ঠিক আগে বাংলাদেশ সফর করবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলবে ২০১৯ বিশ্বকাপের রানার্স-আপ দলটি। উপমহাদেশে সফরের পূর্বে স্বাগতিক বোর্ডের আয়োজন দেখতে ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে দেশটির প্রতিনিধি দল পর্যবেক্ষণে আসেন।

নিয়মিত রুটিনে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসেছে। গত বুধবার সকালে তারা আসেন সিলেটে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে সিলেটে আয়োজন করতে চায় বিসিবি। এর আগে নিউ জিল্যান্ড কেবল ঢাকা ও চট্টগ্রামে খেলেছে। সিলেটে ভেন্যু নির্ধারণ করায় নয়ানাভিরাম সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দল। মূল মাঠ, গ্রাউন্ড ২, ড্রেসিংরুমসহ অনুশীলনের সুযোগ সুবিধা, জিম, ইনডোর ঘুরে দেখেন প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে থাকা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার শাহ- বিয়ার নাফিস জানিয়েছেন সিলেট মাঠ দেখে সন্তুষ্ট প্রতিনিধি দল।

শাহরিয়ার নাফিস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাঠ পর্যবেক্ষণ করতে তারা এসেছেন। আমরা এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত করিনি কিন্তু সিলেটে আমরা ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। এজন্য তারা সিলেটে এসেছেন। আমি বিশ্বাস করি এবং এখন পর্যন্ত তাদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। তারা এখানকার সুযোগ . সুবিধায় সন্তুষ্ট। আমরা ভেন্যু চূড়ান্ত হলে অবশ্যই তাদেরকে আরও ভালো সুযোগ- সুবিধা দেব। বাংলাদেশ সব সময়ই ভালো আয়োজক। আশা করছি সেই ধারাবাহিকতা এই সফরেও থাকবে।’

নিউ জিল্যান্ড দলের প্রতিনিধির কণ্ঠেও ছিল একই সুর, ‘এখানকার সুযোগ-সুবিধা দারুণ। আমরা এখানে দল পাঠিয়ে কিছু ম্যাচ খেলার পরিকল্পনাও করছি। এখানে নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি পাবো। আমরা সব সময়ই বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী। কখনো চিন্তার কিছু থাকে না। এশিয়া কাপের পর ও বিশ্বকাপের মাঝে নিউ জিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। ১০ দিনের ঝটিকা সফরে তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা কিউদের।