সুনামগঞ্জে পুকুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী পৌর শহরের মল্লিকপুরের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সাবিদ আহমেদ মুরসালিন (২০)।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ছয়টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের পেছনের পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় এবং আত্মীয়রা জানান, কয়েকজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে পুকুরে সাঁতার কাটতে আসে সাবিদ। পুকুরের পশ্চিম পাড়ের পাকা ঘাট থেকে পূর্ব পাড়ের ঘাটে সাঁতরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কিছুদূর গিয়ে সে তলিয়ে যায়। সাঁতার জানলেও সাবিদ শাস কষ্টে ভুগছিল। ফলে তীরে উঠতে পারছিলনা।
পাড়ে উঠে বন্ধুরা তাকে দেখতে না পেয়ে স্থানীয়দের জানালে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা জেরিন ও ওসি আবুল কালামের উপস্থিতিতে পরে প্রায় আধা ঘন্টার অভিযানে উদ্ধার হয় মরদেহ। এসময় ফায়ার সার্ভিসের দুই ডুবুরি উদ্ধার অভিযান চালালেও মরদেহ শনাক্ত করতে পারেননি। ইউএনও ও ওসির নির্দেশে পরবর্তীতে পাশে থাকা ৮ জন নির্মাণ শ্রমিক সহ স্থানীয় ২০ জন পানিতে নেমে উদ্ধার অভিযান চালান। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে খালেদ মিয়া নামের এক শ্রমিক মরদেহ শনাক্ত করলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম জানান হাসপাতালে আনার অনেক আগেই ছেলেটির মৃত্যু হয়।
নির্মাণ শ্রমিক খালেদ জানান, আমরা কাজ করছিলাম পুকুরের পাশে। একজন যুবক এসে জিজ্ঞেস করে আমরা সাঁতার পারি কি না। পারি বলতেই তারা বলেন, তাদের সাথের একজন ডুবে গেছে। শুনে আমরা ৮জন কাজ বন্ধ করে পানিতে নেমে পড়ি। পরে ফায়ার সার্ভিস আসলে তারাও খুঁজে পায়নি। এক পর্যায়ে আমার হাতে থাকা বাঁশে কিছু একটা অনুভব করি। ডুব দিয়ে দেখতে পাই মরদেহটি উল্টো হয়ে আছে, পরে কয়েকজন মিলে টেনে তুলি।
সুনামগঞ্জ সদর ফায়ার স্টেশনের লিডার কবির হোসেন বলেন, সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের ডুবুরি উদ্ধার অভিযান চালায়। অভিযানের বিশ মিনিট পর স্থানীয়দের সহায়তায় একটি মরদেহ উদ্ধার হয়।