গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যা মামলায় ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক স্বপন রায় রায় সহ ৯'জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে মামলার বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. জাহিদ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এদিন বিকেলে গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম জামিন আবেদন নাকচ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্বপন রাম রায় (৩৫) উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও মনমথ গ্ৰামের মৃত: রাজকুমার রাজভরের ছেলে।
কারাগারে পাঠানো অন্য আসামীরা হলেন- মনমথ গ্ৰামের মৃত পানু রাম রাজভরের ছেলে।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিষ্ণু রাম রায়(৪০), মোঃ মাহবুবুর রহমান খান এর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান খান তপু(৩০), মোঃ স্বপন মিয়ার ছেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আশিকুর রহমান শাওন(৩০), মানিক রাম রায়ের ছেলে নয়ন রাম রায়(৩৫), নেপাল চন্দ্রের ছেলে কমল চন্দ্র ঘোষ (৩০), মৃত: সুবল চন্দ্রের ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র (২৫), মৃত: মনছুর আলীর ছেলে ছলিম মিয়া (৫০), মৃত: বাইচ আলীর ছেলে মোঃ মালেক মিয়া।
অ্যাডভোকেট মো. জাহিদ হোসেন খান বলেন, জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত নয় আসামী হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা সোমবার গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য সেরেন্ডার করেন। তবে বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ১০ বছর পর নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে গত ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।