তবে অপহরণের সাথে জড়িত কোন দস্যুকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগেরর চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খালে জেলেবহর থেকে ১১ জনকে অপহরণ করে দস্যুরা। পরে জেলেপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা। শরণখোলা থানা পুলিশের অভিযানে উদ্ধারকরা জেলেরা হলেন, হানিফ হাওলাদার (৪৮),সোহেল মল্লিক (২৮) এবং আসাদুল শেখ (৩২)। মোংলা থানা পুলিশের উদ্ধারকরা জেলেরা হলেন, মোঃ আকরাম হোসেন (৪২), আনিচ শেখ (২২), মোঃ মিলন শেখ (২৩), মোঃ রফিকুল ইসলাম খান (৩৫), শুকুর আলী বেপারি (৩০), মোঃ মনির বেপারী (৩৬), মোঃ অলি শিকদার (৪৮), ও মোঃ বকতিয়ার বেপারী (৩৫)। উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, সদর এবং খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায়। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, জেলেদের অপহরণের খবরে পুলিশ সুন্দরবনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান চালিয়ে মোংলা ও শরণখোলা এলাকা থেকে ১১ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে, কোন বনদস্যুকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বনদস্যুদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।