সোনারগাঁও যাদুঘর নামে পরিচিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক পতিত স্বৈরাচারের দোসর আ.খ.ম আজাদ সরকার সিন্ডেকেটের নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে ডুবতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী ও সাবেক সচিব মো. খলিল আহমদের আস্থাভাজন পরিচয়ে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও থোরাই কেয়ার করতেন তিনি। হয়েছেন প্রদর্শন কর্মকর্তা থেকে উপ পরিচালক। ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর দেশের সব প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন হলেও আজাদ রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকার বদল হলেও নিজের ক্রাইম পার্টনারদের পক্ষ বদল করেছেন আজাদ। বর্তমানে স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করেই নিজের পদ ধরে রেখেনে আজাদ সরকার। 
অনুসন্ধানে জানাযায় সোনারগাঁও যাদুঘর এর সামনে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের যে পার্কিং মাঠ রয়েছে সেটি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিনা টেন্ডারে একটি প্রভাবশালী মহলকে ইজারা দিয়েছেন। বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ১৭ লাখ টাকা। ফাউন্ডেশনের ভেতরে স্থায়ী ক্যান্টিনের ইজারা, মেলা আয়োজন, দোকান বরাদ্দ, সৌন্দর্য বর্ধন, রক্ষণাবেক্ষণসহ সব খাত থেকেই দূর্নীতি ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ আজাদ সরকারের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সরকারি অর্থ ব্যবহার করে নিজের পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমনেরও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, প্রদর্শন কর্মকর্তা একে এম আজাদ সরকারের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও সীমাহীন দুর্নীতি ও ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছিলেন।  এমপি খোকার শেল্টারে আজাদ রামরাজত্ব ও আধিপত্য বিস্তার করে ছিলো। এখনো একইভাবে আছেন। 
ঐতিহাসিক নিদর্শন রক্ষা ও দর্শনীয় স্থানের উন্নয়নে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন থেকে স্বৈরাচারের ভূত দূর্নীতিবাজ আজাদ সিন্ডিকেট অপসারনে দাবি সংস্লিষ্টদের।