ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, হ্যাপীর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ হ্যাপী (২৫) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিউটে মারা গেছেন। পরিবারের অভিযোগে স্বামী রনি সর্দারকে গ্রেপ্তার করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হ্যাপীর ভাই বলেন, আমরা মামলা করেছি এবং রনি সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার (৮ মে) দুপুরে ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া গরুর হাট সংলগ্ন রানার চায়ের দোকানে নৃশংস এ ঘটনা ঘটে। বুধবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিউটে দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান তিনি। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, হ্যাপীর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার আব্দুল লতিফের মেয়ে হ্যাপী। তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং ২০১৯ সালে তারা বিয়ে করেন। 4বাজিসহ মাদকের কারবারি। তিন বছর আগে ফেসবুকে রনির সঙ্গে হ্যাপীর পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে প্রেম ও বিয়ে।

এটা তার দ্বিতীয় বিয়ে। তাই ঘরে স্ত্রী-সন্তান থাকায় তিনি হ্যাপীকে রূপপুরে বাসা ভাড়া করে রাখেন। হ্যাপী মাঝে মধ্যে তার বাড়িতে যেতে চাইলে রনি তাকে মারধর করতেন। এতে তার সন্দেহ হয়। ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে হ্যাপী গোপনে রনির বাড়ির খোঁজে আওতাপাড়ায় যান। এরপর মোবাইলে রনির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিজের গোপন তথ্য হ্যাপী জেনে যাওয়ার ভয়ে তাকে আওতাপাড়া গরুর হাট সংলগ্ন রানার চায়ের দোকানি বসতে বলেন। পরে রনি তার দুই বন্ধু স্থানীয় পলাশ ও হাফিজকে নিয়ে হ্যাপীর নিকট আসেন। তাকে না জানিয়ে আওতাপাড়ায় আসায় তাকে গালাগালি করেন তিনি। এক পর্যায় দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় রনি ক্ষিপ্ত হয়ে বন্ধু পলাশকে দিয়ে পেট্রল আনিয়ে হ্যাপীর গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন