লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার বালাবাড়ির ডাঙ্গায় শরীফ ইসলামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।


বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বালাডাঙ্গা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা শরীফ উদ্দিন আশরাফুল ইসলাম, আজিজুল ইসলামসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি ও টংভাঙ্গা ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, তার বড় ভাই আজিজুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শরীফ উদ্দিনের দাবি, আশরাফুল ইসলাম ও তার ভাই শরিফুল ইসলামের কাছে ১০০ বোতল ফেনসিডিল বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এর জেরে কয়েকদিন আগে তাকে আটক করে জোরপূর্বক ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বুধবার বিকেলে টাকা আদায়ের চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডা হয়, একপর্যায়ে আশরাফুল ইসলাম, আজিজুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে শরীফ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়।
 

হামলায় আহত হয়েছেন-শেফালী বেগম (৫০)- জোবেদ আলী (৫৫)- সাফিউল ইসলাম (৩২)তারা সবাই স্থানীয় হাতীবান্ধা হাসপাতালে কি স্বাধীন অবস্থায় আছেন।

অভিযোগকারীর শরীফ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আজিজুল একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, তারা সব ভাই মাদক কারবারে জড়িত। তারা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, আগুন দিয়েছে। আমার পরিবারের অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।”

স্থানীয় এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, আজিজুলরা সমবেত হয়ে তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে। তারা গরিব বলে কি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে? তবে কি অর্থের প্রভাবের কাছে সত্য নতজানু হবে?

ঘটনার বিষয়ে আশরাফুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে এবং তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”