এবিষয়ে গাড়িসহ গাছের মালিক মো. ওসমান গণি বাবুল বলেন, রাত ১১টার দিকে আজিজনগর থেকে গাছ ভর্তি গাড়ি পেকুয়া যাওয়ার পথে বরইতলীর মছনিয়াকাটা রেললাইন এলাকায় পৌঁছালে হারবাং ফাঁড়ি পুলিশের ডিউটিরত এ.এস.আই সালামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা গাড়িটিকে থামিয়ে দেয়। এসময় গাড়ির চালকের পকেটে নগদ টাকা না থাকায় তাদের চা খরচ বাবদ ২শত টাকা দিতে পারেনি সে। ২শত টাকা দিতে না পারায় গাড়িটি আটক করে রাখেন এ.এস.আই আব্দুস সালাম। পরে খবর পেয়ে আমি সহ অপর আরেকজন গাছ ব্যবসায়ী ওই স্থানে যায়। গিয়ে অনেক বুঝানোর পর এ.এস.আই আব্দুস সালামকে টাকা দিয়ে গাড়িটি ছাড়িয়ে আনি।
এছাড়াও আরো কয়েকজন গাছ ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন গাছের প্রতিটি গাড়ি থেকে ২০০টাকা করে চাঁদা আদায় করেন হারবাং ফাঁড়ির রাতে ডিউটিরত পুলিশরা। এমনকি মাস শেষে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের নামে প্রতিজন গাছ ব্যবসায়ী থেকে গাড়িভেদে ২/৩ হাজার টাকা মাসিক মাসোহারা দিতে হয়। যদি, এসব টাকা দিতে কোন ব্যবসায়ী অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে গাড়ি আটক করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। পরে, মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আব্দুস সালাম হলেও তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোটিপতি সালাম নামে পরিচিত। রাতে দায়িত্বপালনকালে সে মানুষকে জিম্মি করে টাকা-পয়সা আদায় করে থাকেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত এ.এস.আই আব্দুস সালামের কাছে জানতে তার ফোন নাম্বার ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার ফোন নাম্বারে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার কোন ধরনের সাড়া মেলেনি।
এবিষয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ.এস.আই সালামের কাছে এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জেনে দেখেছি। তিনি গাছের গাড়ি আটক করে টাকা নেয়নি। আপনার কাছে যদি এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর কোন ডকুমেন্টস থাকে তাহলে পুলিশ ফাঁড়িতে এসে দেখাতে পারেন।
অন্যদিকে, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।