দেশি পেঁয়াজ বাজারে পযাপ্ত সরবরাহ হওয়ায় পেঁয়াজের দাম দিন দিন কমতে শুরু করেছে। হিলি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার দখল করেছে দেশী পেঁয়াজ।

ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বাজার দখল করে নিয়েছে দেশি পেঁয়াজ। কেজিতে  দাম কমছে ১৫ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রয় হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের শুরুর আগেই সরকার পেঁয়াজ আমদানির আইপি বন্ধ করে দেওয়ায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ টাকায় বিক্রয় শুরু করছিলেন ব্যবসায়ীরা। দেশি পেঁয়াজ বাজারে পযাপ্ত সরবরাহ হওয়ায় পেঁয়াজের দাম দিন দিন কমতে শুরু করেছে।

হিলি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার দখল করেছে দেশী পেঁয়াজ। খুচরা বাজারে কেজিতে ১৫ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। আর পাইকারী বিক্রয় হচ্ছে ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে। এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায় ভারতীয় পেঁয়াজ চোখে পড়ার মত নেই। একটা দোকানে দেখা গেলেও সেই পেঁয়াজও ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রয় হচ্ছে। খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল জানান,কয়েক দিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।এতে পাইকারি আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ নেই। দেশী পেঁয়াজ দখল করেছে ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার।সাত দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।

আমরা পাইকারী কিনতেছি ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজিতে। আর খুচরা বিক্রয় করছি দেশীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজের পাইকারী আড়তদাররা বলেন,সরকার দেশীয় পেঁয়াজ চাষিদের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে। রমজান মাসে পেঁয়াজ বেশি প্রয়োজন হয়।এসময় আমদানি বন্ধ করায় দাম বাড়ার আশংকা থাকলেও দেশীয় পেঁয়াজ পযাপ্ত পরিমাণ রয়েছে এবং সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম উন্টো দিন দিন কমেছে। হাকিমপুর কৃষি অফিসার ড.মমতাজ সুলতানা বলেন, এই উপজেলায় পেঁয়াজের আবাদ তুলনামূলক কম হয়।তবে চলতি রবি মৌসুমে ১ টি পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নে ৪৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। হিলি পোর্ট-সূত্রে জানা গেছে,গত ১৬ মার্চের পর এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।