গতকাল শুক্রবার সকালে চাল পড়া দিয়ে অভিযুক্তে সনাক্ত করার কথা বলা হলে রিতু নিজের দোষ শিকার করে। পরে তাকে শিকল দিবে বেধে রাখে স্থানীয়রা। এর আর বৃহস্প্রতিবার বিকেলে শিশু আবির হোসেনকে দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে পান করায় রিতু। দুধ পানের কিছুক্ষণ পর শিশু আবির অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই শিশুর পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে শুক্রবার সকালে শিশুটির পরিবার এলাকায় আশেপাশের লোকদের ডেকে চাল পড়া দিয়ে অভিযুক্তে সনাক্ত করা বলে। এবং পড়া চাল অভিযুক্ত যদি খায় তবে তার মাথার চুল পরে যাবে বলে প্রচার করলে ধরা পরার ভয়ে রিতু নিজের দোষ স্বীকার করলে তাকে শিকল দিবে বেধে রাখে স্থানীয়রা।
তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন স্থানীয় মাতাব্বরেরা। স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য জোবাইদা খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু আবিরকে দুধের সাথে বিষ খাওয়ায় বলে স্বীকার করে প্রতিবেশী সমেজ আলীর স্ত্রী রিতু আক্তার তাকে স্থানীয়রা আটক করে রেখেছে। শিশুকে চিকিৎসার জন্য সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির দাদা সাঈদ আলী বলেন, রিতু আমার নাতি ডারে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে, তার বিচার চাই। অভিযুক্ত রিতু আক্তার শিশু আবিরকে বিষ খাওয়ানের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে। কেন শিশুকে বিষ খাইয়েছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আর কিছুই জানি না। সাটুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।