মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তারা মহাপরিচালককে অপসারণের কারণ হিসেবে বলেন, যোগদানের পরেই তিনি ঘোষণা করেন যে, তার কক্ষে পরিচালক পদমর্যাদার নিচের কোনো কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারবেন না। তিনি সর্বদা কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ও কক্ষ থেকে বের করে দেন।

সহকর্মীদের সঙ্গে অশোভন ও কলোনীযুগের আচরন সহ নানা অনিয়মে অভিযুক্ত ও বিতর্কিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এ সময় তারা ডিজিকে পদত্যাগে করতে ২৪ ঘণ্টার অল্টিমেটাম দেন।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এই মানববন্ধন হয়।  মানববন্ধনে বক্তারা মহাপরিচালককে অপসারণের  কারণ হিসেবে বলেন, যোগদানের পরেই তিনি ঘোষণা করেন যে, তার কক্ষে পরিচালক পদমর্যাদার নিচের কোনো কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারবেন না। তিনি সর্বদা কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ও কক্ষ থেকে বের করে দেন।

এ ছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার দায়িত্ব গ্রহণের পর  ২০ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আসেন এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু মত বিনিময় সভায় মহাপরিচালক তার নির্বাচিত কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে গোপনে সব আয়োজন শেষ করেন। এ ছাড়া সভায় তিনি তার পছন্দের মাত্র ৬ জন ব্যক্তিকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেন, যাদের সবার কাছ থেকেই সভার দিন সকাল বেলা বক্তব্যের স্ক্রিপ্ট জমা নেন।

 মহাপরিচালক হিসেবে তিন মাস হতে চললেও তিনি ছয়–সাত বছর ধরে একই শাখায় কাজ করা এবং বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সুবিধাভোগীদের এখনো বদলি করেননি।সব বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ ও পদলোভী কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি তার মহাপরিচালক পদ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।

প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো ধারণা না থাকা এই কর্মকর্তা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের অন্তরায় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এ কারণে তাকে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে তার পরিবর্তে একজন শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়নের দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।