আমাদের জাতি আশা করে, আমরা তাদের লক্ষ্য পূরণ করব। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের জনগণ চায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের কষ্ট নিবারণের ব্যবস্থা করা হোক।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরও বড় ব্যবধানে জয়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ওই দিন থেকে সম্প্রতি তার ঘোষিত তুরস্কের শতাব্দীর সূচনা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তুর্কি সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি জানিয়েছে, মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় তুর্কি নেতা এসব কথা বলেন। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন নিয়ে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান টানা দুই দশক ধরে তুরস্ক শাসন করা এরদোগান।  ৬৯ বছর বয়সি এই রাজনীতিক বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ২৮ মে’র নির্বাচনের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশা করি, আমরা আগামী দিনগুলোকে সবচেয়ে ভালো ও ফলপ্রসূভাবে মূল্যায়ন করতে পারব। আল্লাহর হুকুমে, আমরা ২৮ মে-তে তুরস্কের শতাব্দীর (সেঞ্চুরি অব টার্কি) সূচনা করব।

’ প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার টুইটে জাতিকে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের প্রত্যেককে কঠোর পরিশ্রম, প্রচেষ্টা এবং ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই.। ১৪ মে আমরা যে সাফল্য অর্জন করেছি, তা আরও বড় বিজয়ে পরিণত করার মাধ্যমে সফলতার মুকুট পরানোর এখনই উপযুক্ত সময়।’এ সময় তিনি মনে করিয়ে দেন যে, ২৭ মে অভ্যুত্থানের ৬৩তম বার্ষিকীর একদিন পর ২৮ মে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরদোগান বলেন, আমাদের জোট জাতীয় ইচ্ছা এবং দেশ ও জাতির সেবা করাকে রাজনীতির কেন্দ্রে রাখে। কারণ কেবল কঠোর পরিশ্রম করেই জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতার ঋণ শোধ করা সম্ভব। ‘তুরস্ক আমাদের কাছ থেকে পরিষেবা আশা করে, পদক্ষেপের প্রত্যাশা করে।

আমাদের জাতি আশা করে, আমরা তাদের লক্ষ্য পূরণ করব। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের জনগণ চায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের কষ্ট নিবারণের ব্যবস্থা করা হোক। এ জন্য তারা অপেক্ষা করছে,’ বলেন তুকি প্রেসিডেন্ট। তুরস্কের নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা তথা সুপ্রিম ইলেক্টোরাল কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় রাউন্ডে নির্বাচন হবে আগামী ২৮ মে। ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। বিপরীতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলেই যে কেউ সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।