পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোরে শিশুটি কান্না করলে দাদি পাতানী রানী তাকে মা তুলসি রানীর হাতে দেন দুধ খাওয়ানোর জন্য। কিছুক্ষণ পর তুলসি রানী ঘরে নিয়ে শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে রক্তাক্ত মরদেহ স্বামী বাবু লালের হাতে তুলে দেন।
শিশুর বাবা বাবু লাল বলেন, কিছুই বুঝতে পারছি না। মাসখানেক ধরে স্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে মেয়েটা মায়ের কাছেই ছিল। আজ ভোরে দুধ খাওয়ানোর জন্য তার কাছে দিই। মেয়ের কান্না থেমে গেল ঠিকই, কিন্তু এভাবে থামবে তা কল্পনাও করিনি।
শিশুটির দাদি পাতানী রানী জানান, ৫-৬ দিন ধরে নাতনি আমার কাছেই ছিল। সকালে কান্না করছিল, তাই বউমার কাছে দিই। কিছুক্ষণ পর দেখি ছেলে হাতে গলাকাটা বাচ্চা নিয়ে কাঁদছে, আর বউমা চুপ করে বসে আছে।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক জানান, ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। স্বজনেরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।