পটুয়াখালীর বাউফলে সাইদুল ইসলাম ওরফে শুভ (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী বাউফলের আব্দুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিম রাজা’র অভিযোগ, ‘বিদ্যালয় সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তার ওপরে হামলা হওয়ার আশঙ্কা পূর্বেই ছিলো। প্রায় ৩মাস আগে তিনি নিরাপত্তা জনিত জিডি করেছেন বলেন তিনি।’তিনি জানান, ঘটনার দিন বিলবিলাস বাজার থেকে অটোরিকশা যোগে চোখের ডাক্তার দেখাতে পটুয়াখালী জেলা শহরে যাচ্ছিলেন।

তিনি বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত ও উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা শরীফ আবুয়াল কাসেম, মাতা মোসাঃ মমতাজ বেগম এর জ্যেষ্ঠ পুত্র। নাজিরপুর ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন তাঁর পিতা।

গতকাল মঙ্গরবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এ সময় কয়েকশত শিক্ষার্থী ব্যানার ও বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন নিয়ে কালাইয়া বন্দর ঘুরে ৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

গতকাল শুক্রবার (১৩সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৮ টায় উপজেলার কালাইয়া বন্দর বাজারে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মালিকুল ইসলাম স্বপন (৪৫), উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন খান (৬৫) ও নুর হোসেনের ছেলে শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন খান (২১)।

গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাউফলের স্থানীয় পাবলিক মাঠে বাউফল উপজেলা জামায়েতে ইসলামীর আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতির এক বিশাল সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিগত সরকার আমাকে একাধারে ৬৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে। সাড়ে ৪ বছর জেল খেটেছি।