পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গত ২১ আগষ্ট রাত দেড়টার দিকে নিখোজ নাটক করে ঊর্মীর পরিবার। পরে ২দিন পর শনিবার সকাল ৮টায় পাশের কুম্ভখালী খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মেয়ের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একই দিন রাতে বাউফল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশি নজরে থাকেন মেয়ের মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল বয়াতি ও দুলাভাই কামাল হোসেন (৩২)। অবশেষে ঘটনার ৭দিন পর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত তাদেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই তিন ব্যক্তি। পরে বুধবার সকালে তাদের ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মায়ের পরকিয়া সম্পর্ক দেখে ফেলেন মেয়ে ঊর্মী। পরে রাত দেড়টার দিকে মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল ও দুলাভাই কামাল মিলে ঊর্মীকে ব্যাপক মারধর করেন। একপর্যায়ে গলাপিটে হত্যা করা হয় উর্মীকে পাশের নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ঘটনার পর থেকে ওই তিনজনই আমাদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দায় স্বীকার করেছেন।