লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় ১৪ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে সাতদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে(ববি)এ মশাল মিছিল আয়োজন করে জুলাই জাগ্রত মঞ্চ। মশাল মিছিল শেষে ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। 

চারই সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিল্ডিং এক এর নিচতলা(গ্রাউন্ড ফ্লোর) থেকে এই মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেট থেকে বের হয়ে দুই নম্বর গেট প্রদক্ষিণ করে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে শেষ হয়।

মশাল মিছিলে 'ধর্ষকের আস্তানা,এই বাংলায় হবে না'

'আমার বোন ধর্ষিতা কেনো,
আসিফ নজরুল জবাব দে'

'জনগণের কলরবে,ধর্ষকের পতন হবে'
সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বাসার সামনে থেকে মুখ চেপে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে। এরপর সাত দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে অভিযুক্ত জয় কুড়িসহ আরও কয়েকজন। পরবর্তীতে ৩০ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটিকে রায়পুর শহরের মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে যায় অভিযুক্তরা।


মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়টির ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃবিপ্লব বলেন,গত জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত যতগুলো ধর্ষন হয়েছে ইন্টারিম তার কোনো বিচার হয় নি।আমরা বলতে চাই,সকল ধর্ষনের বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে কারন বিচারে বিলম্ব করা হলে সেই ঘটনা পরে উপেক্ষা করা হয়।


বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের  শিক্ষার্থী ইফতেখার সায়েম বলেন, ধর্ষক, নির্বাক প্রশাসন ও নির্বাক মূলধারার মিডিয়াকে হুশিয়ার করার জন্য আমাদের মশাল মিছিল। আমরা ধর্ষিত বোনের জন্য ন্যায়বিচার চাই এবং ধর্ষনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা একটা নিরাপদ দেশের জন্য জুলাই এনেছিলাম কিন্তু যেভাবে দেশ চলছে, মনে হচ্ছে অদ্ভুত অসুরের হাতে দেশ।